স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে যেসব সাংবাদিক ন্যূনতম পেশাদারিত্ব বজায় রেখে কাজ করার চেষ্টা করতেন, তাদের ওপরও দমন-নির্যাতনের খড়গ নেমে আসত।
আজ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে উপদেষ্টা লেখেন, ‘‘প্রশ্ন নয়, প্রশংসা করতে এসেছি’’ — এই ছিল হাসিনার সংবাদ সম্মেলনের ধরন। এই দমনপীড়নের মধ্যেও যারা ন্যূনতম সাংবাদিকতার চেষ্টা করতেন, তাদের ওপর নেমে আসত নির্যাতনের খড়গ। যেসব কারণে ‘জুলাই’ অনিবার্য হয়ে উঠেছিল, তার মধ্যে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়াও ছিল অন্যতম।’
তিনি বলেন, শিল্পী দেবাশিস চক্রবর্তী ‘জুলাই প্রিলিউড সিরিজ’-এর ৯ ও ১০ নম্বর পোস্টার এঁকেছেন গণমাধ্যমের স্বাধীনতাহীনতা ও চাটুকারিতাকে থিম করে। জুলাই ২০২৪-এর অন্যতম যোদ্ধা এই শিল্পী সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে এই পোস্টারগুলো তৈরি করছেন।
পোস্টে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘শিল্পী দেবাশিস চক্রবর্তীর আঁকা দশটি পোস্টারে ফুটে উঠেছে কেন জুলাই অনিবার্য হয়ে উঠেছিল এবং সেই সময়ে কী ঘটেছিল।’
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমার চাওয়ার কিছু নেই, আমি আসছি মানুষকে দিতে’ — মুখে এমন কথা বললেও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ফেনা তুললেও ভেতরের চিত্র কী ছিল, তা এখন উন্মোচিত। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় লাগামহীন ও অবিশ্বাস্য মাত্রার লুটপাট আওয়ামী লীগ আমলের এক বড় নির্দেশক।’
তিনি জানান, দেবাশিস চক্রবর্তী জুলাই প্রিলিউড সিরিজের ৫ থেকে ৮ নম্বর পোস্টার এঁকেছেন লুটপাটের থিমকে কেন্দ্র করে। শুরুতে ধারাবাহিকভাবে ১০টি পোস্টার প্রকাশের পরিকল্পনা থাকলেও জনগণের ব্যাপক আগ্রহ ও অনুপ্রেরণায় পোস্টারের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এই পোস্টারগুলোতেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে— কেন ‘জুলাই’ ছিল সময়ের দাবি এবং সেই সময় কীভাবে রাষ্ট্রীয় অপশাসনের বিরুদ্ধে মানুষের ঐক্য গড়ে উঠেছিল।’