Staff Correspondent:
ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ৬ মাসে উন্নীত করার আহ্বান জানিয়েছেন তৈরি পোশাক শিল্প মালিকরা। তারা বলেছেন, এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে ৫০০-৬০০ পোশাক কারখানা ঋণ খেলাপি হওয়া থেকে রক্ষা পাবে। একইসঙ্গে রপ্তানির বিপরীতে আদায় করা এক শতাংশ উৎসে করকে চূড়ান্ত করদায় হিসেবে গণ্য করার সুপারিশ করেছেন তারা।
বুধবার (২ জুলাই) ঢাকার আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকে এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নেতারা।
বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন সহ-সভাপতি (অর্থ) মিজানুর রহমান, সহ-সভাপতি শিহাব উদ্দিন চৌধুরী এবং নির্বাহী সদস্য কামাল উদ্দিন। বিজিএমইএর পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন,
“ঋণের কিস্তি পরিশোধের সময়সীমা ৯ মাস থেকে কমিয়ে ৩ মাস করা হয়েছে, যা অনেক উদ্যোক্তার পক্ষে পূরণ করা সম্ভব হয় না। কিস্তি পরিশোধের সময়সীমা ৬ মাসে উন্নীত করা হলে শত শত কারখানা খেলাপি হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে।”
He also said,
“রপ্তানি আয় থেকে কাটা এক শতাংশ উৎসে করকে বছরে শেষে চূড়ান্ত করদায় হিসেবে বিবেচনা করলে উদ্যোক্তারা স্বস্তি পাবেন। পাশাপাশি নগদ সহায়তার হার কমিয়ে আনা হয়েছে, যা পরিস্থিতি বিবেচনায় অযৌক্তিক ও অসহযোগী। এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানাই।”
বৈঠকে আরও আলোচনায় উঠে আসে—
- ব্যাংক ও এনবিআর সংক্রান্ত জটিলতা
- গ্যাস সরবরাহ সংকট
- নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে প্রণোদনার অভাব
- চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা সংকট
- ট্রেড লাইসেন্স, আইআরসি ও ইআরসি নবায়নে জটিলতা
- রাজউক এলাকায় পুরনো কারখানাগুলোর হয়রানি ইস্যু
এছাড়া গাজীপুর ও আশুলিয়ায় জমি বরাদ্দ দিয়ে শ্রমিকদের জন্য আবাসন, হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথাও জানান বিজিএমইএ নেতারা।
তারা মুন্সীগঞ্জে বন্ধ হয়ে যাওয়া গার্মেন্টস পল্লী কার্যক্রম পুনরায় চালু এবং চট্টগ্রামে ক্ষুদ্র ও মাঝারি পোশাক কারখানার জন্য একটি সমন্বিত শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলার আহ্বান জানান।