মো. নুর আলম, গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে একাধিক মামলার পলাতক আসামি চাকমা জাহাঙ্গীর (৪২) খুন হয়েছেন। বুধবার (২ জুলাই) ভোররাতে উপজেলার শাখারিয়া স্লুইসগেট এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলায় তিনি নিহত হন।
চাকমা জাহাঙ্গীর গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের মধ্য শাখারিয়া গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে গোপালপুর, ভূঞাপুর ও মির্জাপুর থানায় মাদক, চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ অন্তত এক ডজনের বেশি মামলা রয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, চাকমা জাহাঙ্গীর যমুনা নদীঘেঁষা এলাকায় অবৈধ বালু ব্যবসা, মাদক কারবার, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি ও নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল। তার নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ গ্যাং ওই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে অজ্ঞাত স্থান থেকে চাকমা জাহাঙ্গীর ঝাওয়াইল ইউনিয়নের সোনামুই বাজারে আসে। সেখান থেকে নলিন বাজারে ফেরার পথে শাখারিয়া স্লুইসগেট এলাকায় প্রতিপক্ষের লোকজন তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। কুপিয়ে গুরুতর আহত করলে প্রথমে তাকে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হেমনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গোলাম রোজ তালুকদার বলেন, “জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ছিলো। শুনেছি, প্রতিপক্ষের লোকজনই হামলা চালিয়েছে।”
গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মুক্তাদির আশরাফ বলেন, “চাকমা জাহাঙ্গীর পুলিশের তালিকাভুক্ত বহু মামলার আসামি ছিলেন। তাকে অনেকদিন ধরেই খুঁজছিলো পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুপুর ১টা পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করতে আসেনি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তবে হত্যার পেছনে বালু ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধই মূল কারণ হতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারণা।