এস কে রাসেল, দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বাঁচামারা ইউনিয়নের যমুনা নদীতে দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। এসব ড্রেজার দিয়ে প্রকাশ্যে নদী থেকে বালু কেটে বিক্রি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এতে নদীর তীরবর্তী বসতবাড়ি ও ফসলি জমি মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাত-দিন ড্রেজারের বিকট শব্দে নদীপাড়ের মানুষরা চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। বর্ষা মৌসুমে এই বালু উত্তোলনের কারণে নদী ভাঙনের আশঙ্কা বেড়ে গেছে। ইতোমধ্যে কিছু স্থানে ভাঙনের পূর্বাভাস দেখা যাচ্ছে। কয়েকদিন আগেই এক এলাকায় পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়, যেখানে ড্রেজার ব্যবহারে সৃষ্টি হয়েছিল গভীর গর্ত।
বাঁচামারা গ্রামের দিনু মিয়া বলেন, “বর্ষা এলেই নদীর পাড়ে ভাঙন শুরু হয়। ড্রেজার দিয়ে যারা মাটি কাটছে, তারা এলাকায় প্রভাবশালী। সাধারণ মানুষ তাদের কিছু বলতে সাহস পায় না।”
ঘোড়ার গাড়ি চালক আনছের আলী বলেন, “এইভাবে চলতে থাকলে কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। যেখানে বাচ্চারা আগে গোসল করত, এখন সেখানে ড্রেজার চালিয়ে বিশাল গর্ত করে ফেলেছে।”
এদিকে ড্রেজার মালিক আয়নাল শেখ দাবি করেন, “আমি রাস্তার কাজের জন্য ড্রেজার ব্যবহার করছি। বাঁচামারা ইউনিয়নের সদস্য এরশাদ আমাকে অনুমতি দিয়েছেন।”
তবে এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিয়ান নুরেন বলেন, “নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ অবৈধ। আমরা দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে এই অবৈধ ড্রেজার অপসারণ এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যাতে পরিবেশ ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।