তজুমদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি:
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার কামাড়পট্টি এলাকায় চাঁদার দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হয়েছে এক নৃশংস ও হৃদয়বিদারক ঘটনা। স্বামীকে বেঁধে রেখে তার প্রথম স্ত্রী শাহিনুর বেগমকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেছে এলাকার কয়েকজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী। ভুক্তভোগী নারী প্রাণভিক্ষা চেয়ে, এমনকি পায়ে ধরেও রেহাই পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী দম্পতির ভাষ্যমতে, ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত। মো. রুবেলের দ্বিতীয় স্ত্রী তাকে কৌশলে কামাড়পট্টি এলাকার নিজ বাড়িতে ডেকে নেন। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান নেয় ফরিদ, আলাউদ্দিন ও রাসেলসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী।
রুবেল সেখানে গেলে তার কাছে চার লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। অস্বীকৃতি জানালে তাকে এসএস ফাইভ রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। এরপর রুবেল ফোন করে প্রথম স্ত্রী শাহিনুরকে সেখানে আসতে বলেন।
শাহিনুর ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর তাকে জিম্মি করে রুবেলকে বেঁধে ফেলা হয়। তারপর চালানো হয় বর্বর ধর্ষণ। শাহিনুর নিজেকে ‘বোন’ সম্বোধন করে বারবার রক্ষা প্রার্থনা করলেও হামলাকারীরা তাতে কর্ণপাত করেনি।
ধর্ষণ শেষে তারা এলাকা ত্যাগ করলে স্থানীয় কয়েকজন আহত দম্পতিকে উদ্ধার করে যুবদল নেতা মো. পিন্টুর কাছে নিয়ে যান। অভিযোগ রয়েছে, তিনি কোনো সহযোগিতা না করে তাদের বাড়ি ফিরতে বলেন।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগীরা সরাসরি থানায় যেতে সাহস না করে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করেন। সাড়া পেয়ে তজুমদ্দিন থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের থানায় নিয়ে আসে। তবে এখনো তারা লিখিত অভিযোগ করতে সাহস পাচ্ছেন না, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানা গেছে।
ঘটনাটি এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত, কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
স্থানীয় সচেতন মহল অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।