মনির হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি:
যশোর সদর উপজেলার নতুনহাট বাজার এলাকায় প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাসুদুর রহমান মিলন ও তার সহযাত্রী আরিফিন আক্তার জুঁই নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন—মাসুদ রানা ও মামুন হোসেন। বুধবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে বেনাপোল-যশোর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালো রঙের একটি প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে roadside একটি গাছে ধাক্কা খায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান গাড়িচালক আরিফিন আক্তার জুঁই ও তার পাশের সিটে থাকা মিলন। আহতদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুর্ঘটনায় গাড়ির সামনের অংশ সম্পূর্ণ দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ইঞ্জিন ছিটকে পড়ে দূরে।
ঘটনার পরই নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত জুঁই ছিলেন সুজলপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং যশোরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় ছিলেন।
এদিকে, এই দুর্ঘটনাকে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্ন ও গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। রাতের ওই সময় তারা কোথায় যাচ্ছিলেন, কী কারণে একই গাড়িতে ছিলেন—তা নিয়ে জনমনে কৌতূহল দেখা দিয়েছে।
নিহত জুঁইয়ের স্বামী লিটন গাজী কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করেন, তার স্ত্রী ব্যবসায়িক কাজে মিলনের সঙ্গে ঝিকরগাছায় যাচ্ছিলেন। পথে একটি অজ্ঞাত পিকআপ গাড়ি তাদের গাড়িকে ধাক্কা দিলে তারা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন। তবে কী ধরনের ব্যবসা, তা মামলায় স্পষ্ট নয়।
এদিকে মামলায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতির বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। তবে পুলিশ বলছে, নিহতদের পরিবারিক অনুরোধে আইনি প্রক্রিয়া মেনে দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, “ঘটনার পর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন, বিস্তারিত যাচাই করে দেখা হচ্ছে।”
এদিকে দুর্ঘটনার সময় ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি যশোরের আলোচিত ব্যক্তি মাসুদ রানার মালিকানাধীন ছিল বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। স্থানীয়ভাবে আলোচিত এ ব্যক্তির বিরুদ্ধে অতীতে নানা অভিযোগ থাকলেও তদন্তের আগে প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।