আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
টানা ১২ দিন সংঘাতের পর ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে সংঘাতের মূল কারণ—ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করা—সেটি আদৌ কতটা সফল হয়েছে তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের তিনটি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি ‘ধ্বংস’ করা হয়েছে। তবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি জানিয়েছেন, এসব হামলায় যুক্তরাষ্ট্র “উল্লেখযোগ্য কিছু অর্জন করতে ব্যর্থ” হয়েছে।
যদিও সংঘাত থেমেছে, কিন্তু উভয় পক্ষেরই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। ইরান তার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে ইসরায়েলকে কিছুটা চমকে দিলেও, দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ও বিমানশক্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন ইরান সামরিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে রাশিয়া ও চীনের দিকে ঝুঁকতে পারে। ইতোমধ্যে ইরান রাশিয়া থেকে আধুনিক এসইউ-৩৫ যুদ্ধবিমান এবং চীন থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি কেনার উদ্যোগ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পারমাণবিক কর্মসূচি প্রসঙ্গে এখনও অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের তিনটি কেন্দ্রে হামলার দাবি করলেও, প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ইরান এখনও বোমা তৈরির সক্ষমতা ধরে রেখেছে।
এদিকে ইসরায়েলের অর্জনের মধ্য রয়েছে হামাস-হিজবুল্লাহর মতো প্রক্সিদের দুর্বল করা এবং ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা। তবে বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের মূল লক্ষ্য—ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ধ্বংস—পুরোপুরি সফল হয়নি।
যুদ্ধবিরতি নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে। তুরস্কভিত্তিক প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ মুরাত আসলান বলেন, বোঝাপড়ার অনুপস্থিতিতে যেকোনো সময় এই যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়তে পারে।