স্টাফ রিপোর্টার, ঝালকাঠি:
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুসঙ্গল ইউনিয়নের ভাউমহল গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষিকা ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর সংঘবদ্ধ হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর থেকে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৯ জুন (২০২৫) সকাল সাড়ে ১১টায় মো. আলমগীর সিকদার তার বসতবাড়ির সামনে কুটা-কুড় ফেলছিলেন। ওই সময় পূর্ব জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে একই গ্রামের আশিকুল রহমান সৌরভ, হাবিবা বেগম, নূর ইসলামসহ কয়েকজন লোহার রড ও লাঠি নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। আলমগীরের চিৎকারে স্ত্রী সহকারী শিক্ষিকা কহিনূর বেগম ও মেয়ে ফাতেমা জাহান এগিয়ে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়।
শিক্ষিকা কহিনূর বেগম অভিযোগ করে বলেন, “আমার নাকের হাড় ভেঙে গেছে, চোখে রক্ত জমে আছে। মারধরের সময় আমার গায়ের কাপড় ছিঁড়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়।”
এছাড়া মেয়ের গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
আহত কহিনূর বেগম মানপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। তারা বর্তমানে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরলেও পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।
বাদী মো. আলমগীর সিকদার জানান, “মামলার পর থেকে আসামিরা আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। তারা বলেছে, পঙ্গু বানিয়ে দেবে বা মেরে লাশ গুম করবে। আমরা এখন ভয়ে দিন কাটাচ্ছি।”
এ বিষয়ে নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, “বাদীকে হুমকির অভিযোগ এখনো পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এ ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করলে আরও বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।