📅 ২০ জুন ২০২৫
✍️ নিজস্ব প্রতিবেদন
২০২৪ সালে বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা নজিরবিহীন মাত্রায় পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। নতুন প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর সারা বিশ্বে ৪১,০০০-এরও বেশি গুরুতর শিশু অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি।
মূল তথ্যসমূহ:
- ৪১,০০০-এর বেশি শিশু অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা জাতিসংঘ নথিভুক্ত করেছে ২০২৪ সালে — যা ২০২৩ সালের তুলনায় ২৫% বেশি।
- এর মধ্যে শুধু ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে ৭,০০০টির বেশি লঙ্ঘন ঘটনার অভিযোগ রয়েছে, যার মধ্যে ১,২০০-এর বেশি শিশু নিহত হয়েছে।
- ইসরায়েল আবারও জাতিসংঘের ‘কালো তালিকা’-তে স্থান পেয়েছে, যা শিশুদের বিরুদ্ধে গুরুতর সহিংসতার দায়ীদের তালিকা।
এই সহিংসতার সবচেয়ে ভয়াবহ চিত্র দেখা গেছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ও দখলকৃত পশ্চিম তীরে। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক ১,২০০-রও বেশি শিশুর মৃত্যুর প্রমাণ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি হামলা, আহত করা, মানবিক সাহায্য আটকে দেওয়া এবং শিক্ষা ও চিকিৎসা কেন্দ্রে হামলার বহু ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।
ইসরায়েলের কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার প্রভাব:
- এটি আন্তর্জাতিক নজরদারি এবং অস্ত্র রপ্তানির নিয়ন্ত্রণ জোরদার করতে পারে।
- জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর নজর আরও বাড়বে।
- এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে ইসরায়েলকে চাপের মুখে ফেলা সম্ভব হবে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে।
এই প্রেক্ষাপটে, জাতিসংঘ ইসরায়েলকে আবারও “শিশুদের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধে লিপ্ত পক্ষসমূহের তালিকা” বা কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই তালিকায় এমন রাষ্ট্র বা গোষ্ঠীগুলোর নাম থাকে যারা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও শিশু সুরক্ষা আইন লঙ্ঘন করে।
জাতিসংঘের বক্তব্য:
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, “এই সহিংসতা যেন শিশুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার মতো।”
বিভিন্ন দেশে শিশুদের হত্যা, অঙ্গহানি, অপহরণ, যৌন সহিংসতা, স্কুল-হাসপাতালে হামলা এবং মানবিক সহায়তা বন্ধ করার মতো অপরাধ বেড়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, “২০২৪ সালে আমরা শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার এমন রূপ দেখেছি যা সত্যিই ভয়াবহ। এটি যেন সরাসরি শিশুদের বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধ।”
এই তালিকায় ইসরায়েল ছাড়াও বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী, এবং আফ্রিকার কয়েকটি সংঘর্ষরত অঞ্চলের পক্ষগুলোর নামও রয়েছে।
🔍 বিশ্লেষণ বলছে, এই তালিকায় অন্তর্ভুক্তি কেবল আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া জাগিয়ে তোলে না, বরং অস্ত্র বিক্রয়, কূটনৈতিক চাপ ও মানবাধিকার তদন্তেও ভূমিকা রাখে।
📌 উল্লেখ্য: জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন শুধুমাত্র ভেরিফায়েড (নিশ্চিত) ঘটনাগুলোর উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। গাজার পরিস্থিতি ও অবরোধের কারণে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।