ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের অন্যতম রহস্যঘেরা পারমাণবিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। দেশটি কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি যে তাদের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, আবার সরাসরি অস্বীকারও করেনি। এই “অস্পষ্টতা নীতি” (policy of ambiguity) এর মাধ্যমে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক চাপ এড়িয়ে গেছে, আবার প্রতিপক্ষের জন্য একটি প্রতিরোধমূলক বার্তাও দিয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের পারমাণবিক কর্মসূচি শুরু হয় ১৯৫০-এর দশকে, ফ্রান্সের সহায়তায়। দক্ষিণ ইসরায়েলের ডিমোনা পারমাণবিক চুল্লি বহু বছর ধরেই এই অস্ত্র নির্মাণ কেন্দ্র হিসেবে সন্দেহের চোখে দেখা হয়।
১৯৮৬ সালে সাবেক ইসরায়েলি পারমাণবিক প্রযুক্তিবিদ মোর্দেচাই ভ্যানুনু ব্রিটিশ সংবাদপত্র The Sunday Times-এ ইসরায়েলের পারমাণবিক সক্ষমতা ফাঁস করেন, যেটি বিশ্বে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। তবে এরপরও ইসরায়েল রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো বক্তব্য দেয়নি।
ইসরায়েল জাতিসংঘের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ সংস্থা IAEA-র তদারকির বাইরে এবং পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (NPT)-তেও স্বাক্ষর করেনি।
বর্তমান ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের পারমাণবিক অস্ত্র ভাণ্ডার নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে। একদিকে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমকে হুমকি হিসেবে তুলে ধরছে, অন্যদিকে নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে নীরব।