বাধন মিয়া, মহম্মদপুর (মাগুরা):
আষাঢ়ের প্রথম বৃষ্টির পর মহম্মদপুরের প্রকৃতি যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে বর্ষার অগ্রদূত কদম ফুলের স্নিগ্ধ সৌন্দর্য। গ্রামের মাঠ-ঘাট, রাস্তার ধারে, নদীর পাড়ে — সবখানেই ফুটে উঠেছে সাদা-হলুদ গোলগাল কদম ফুল, যা ছড়িয়ে দিচ্ছে শান্তির বার্তা ও অনন্য সৌরভ।
প্রতি বছর বর্ষা এলেই এ ফুল যেন প্রকৃতির এক অমোঘ আহ্বান হয়ে হাজির হয়। বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের মাঝে কদম ফুল ঘিরে দেখা যায় চিরচেনা উচ্ছ্বাস। কেউ গাছে উঠে ফুল তোলে, কেউ আবার মাটিতে পড়ে থাকা ফুল কুড়িয়ে খুশিতে নেচে ওঠে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. প্রিন্স লিমন বলেন, “আমাদের ছোটবেলা কেটেছে কদম ফুল নিয়ে খেলতে খেলতে। এখনকার শিশুরাও সেই আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছে—দেখে ভালো লাগে।”
শুধু চোখের সৌন্দর্যই নয়, কদম ফুল দীর্ঘদিন ধরে কবি-সাহিত্যিকদের প্রেরণার উৎস। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ও জীবনানন্দ দাশের কবিতায় এই ফুলের রূপ ও রোমান্স অসাধারণভাবে উঠে এসেছে।
শহরের কোলাহলের বাইরে, গ্রামবাংলার শান্ত প্রকৃতিতে কদম ফুল এখন যেন এক আলাদা বার্তা নিয়ে হাজির—বর্ষার, ভালোবাসার ও শৈশবের ফিরে দেখার আহ্বান। হঠাৎ হঠাৎ বর্ষণ আর কদম ফুলের সৌন্দর্য মিলিয়ে তৈরি হচ্ছে এক মনোমুগ্ধকর আবহ।