ঢাকাই চলচ্চিত্রের পরিচিত মুখ ও জনপ্রিয় খল-অভিনেত্রী রিনা খান সম্প্রতি বিএনপি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন—এ ঘটনা নিয়ে নানা আলোচনা চলছিল। বিষয়টি নিয়ে এবার নিজেই মুখ খুলেছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওবার্তায় নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন এই অভিনেত্রী।
ভিডিওবার্তায় রিনা খান জানান, তিনি বিএনপির সহযোগী সংগঠন জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভানেত্রী। তিনি বলেন, “আমি বিএনপি করি বলেই অনেক বাধা-বিপত্তির মধ্যে থেকেছি। আমার ছেলের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। ২০০৯ সালে সে জার্মান চলে গেছে। তার নামে ওয়ারেন্ট ছিল, আরেক ছেলের পেছনেও পুলিশ লেগেছিল।”
নিজের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে রিনা খান বলেন, “আমি অনেক বছর ধরে কোনো সরকারি অনুষ্ঠানে যেতে পারিনি। বিটিভিতেও আমার ডাক পড়ত না। আমি ঘরে থাকলেও নিরাপদ বোধ করতাম না।”
তিনি জানান, ছেলের মামলার বিষয়ে আবেদন করতেই তিনি বিএনপি অফিসে গিয়েছিলেন। সেখানে বিএনপির একজন শীর্ষ নেতার সঙ্গে তার দেখা হয় এবং তিনি সহানুভূতির সঙ্গে বিষয়টি শুনেছেন।
রিনা খান আরও বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত থেকেছি। আজ মনে হচ্ছে, আমরা আবার আশার আলো দেখতে পাচ্ছি।”
প্রসঙ্গত, রিনা খান ১৯৮২ সালে ‘সোহাগ মিলন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু করেন। খল চরিত্রে অভিনয় করে ঢালিউডে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেন তিনি।