Staff Correspondent:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মগটুলা ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক পদের জন্য আলোচনায় রয়েছেন ত্যাগী নেতা অলি আহমেদ। দীর্ঘদিন ধরে দলের দুঃসময়ে রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে তিনি তৃণমূল নেতাকর্মীদের আস্থা অর্জন করেছেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বিরোধী দলে থাকাকালীন সময়েও অলি আহমেদ মিছিল-মিটিং, সভা-সমাবেশসহ বিএনপির সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালে ঢাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়, যা তার রাজনৈতিক ত্যাগের সাক্ষ্য বহন করে। ছাত্রজীবনে ছিলেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী। পরবর্তীতে যুবদলের বৈরাটি ওয়ার্ড শাখার সভাপতির দায়িত্বও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন।
তাঁর রাজনৈতিক আদর্শের ভিত্তি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের চেতনায় গড়ে উঠা। রাজনীতির পাশাপাশি সৎ জীবনের পথ অনুসরণ করে তিনি মাইজবাগ বাজারে ‘অলি কম্পিউটার’ নামে একটি ব্যবসা পরিচালনা করছেন। সেই ব্যবসার আয় দিয়েই তিনি পারিবারিক ও রাজনৈতিক ব্যয় নির্বাহ করে থাকেন।
মগটুলা ইউনিয়ন বিএনপির একাধিক নেতা জানান, অলি আহমেদ নিয়মিত নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রাখেন এবং দলের প্রয়োজনে সবসময় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, “অলি ভাই একজন ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা। আমরা চাই তাঁকে ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।”
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে অলি আহমেদ বলেন, “আমি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু ভাইয়ের দিক-নির্দেশনায় রাজনীতি করি। যদি আমাকে মগটুলা ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে আমি নিষ্ঠার সঙ্গে দলের জন্য কাজ করে যাব।”
তৃণমূলে এমন দাবির প্রেক্ষিতে দলীয় নেতৃবৃন্দ অলি আহমেদের বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।