১২ জুন ২০২৫ | ওয়াশিংটন ও তেলআভিভ থেকে আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইসরায়েলের সঙ্গে ৭.৪ বিলিয়ন ডলারের একটি বিশাল অস্ত্রচুক্তিসম্পন্ন করেছিল এবং আলোচনার পুরো সময়জুড়ে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রেখেছিল। এমনটাই জানিয়েছেন দুইজন মার্কিন কর্মকর্তা মিডল ইস্ট আই-কে।
এই অস্ত্রচুক্তির আওতায় ইসরায়েলকে মারাত্মক বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান প্রযুক্তি এবং স্যাটেলাইট নজরদারি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়। কর্মকর্তারা বলেন, “এই সহায়তা ইসরায়েলকে কৌশলগত সুবিধা দিয়েছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে তাদের আধিপত্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।”
ফেব্রুয়ারিতে অনুমোদন কংগ্রেসের
উল্লেখযোগ্যভাবে, এই চুক্তিটি ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মার্কিন কংগ্রেস কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত হয়। এর ফলে ইসরায়েল আরও আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন অস্ত্র হাতে পায়, যা বর্তমানে ইরান ও গাজার সঙ্গে চলমান সংঘাতে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সমালোচনার মুখে যুক্তরাষ্ট্র
এই চুক্তি প্রকাশ্যে আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই বলছেন, এই ধরনের অস্ত্রচুক্তি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির বদলে সংঘাত উসকে দিচ্ছে এবং নিরস্ত্রীকরণের উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করছে।
নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক সমীকরণ
বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক বহুদিন ধরেই নিরাপত্তা সহযোগিতার ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের সময় এই সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়, বিশেষ করে ইরানবিরোধী নীতিতে। তেলআভিভকে সমর্থন দেওয়ার মাধ্যমে ওয়াশিংটন তাদের কৌশলগত লক্ষ্য রক্ষা করেছে, কিন্তু একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়েছে।
সংক্ষেপে:
- ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে ৭.৪ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্রচুক্তি
- আলোচনার পুরো সময় ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত
- ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন
- মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত ও উত্তেজনা আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা