বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি জানান, আগে নির্বাচন এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সেই সময়টিকে ‘উপযুক্ত নয়’ হিসেবে বিবেচনা করে তারেক রহমান প্রস্তাব দেন, নির্বাচন আরও আগে আয়োজন করা উচিত। এ প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টাও সম্মতি জানান এবং দু’পক্ষ একমত হয় যে, আগামী নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারিত হবে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে.
শুক্রবার (১৩ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, এই বৈঠক ছিল একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’। কারণ, এই বৈঠকের পর বিএনপি ও অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে ভবিষ্যতের রাজনৈতিক রূপরেখা নিয়ে একটি সমঝোতার ভিত্তি তৈরি হয়েছে। বৈঠকে শুধু সময়সীমা নয়, বরং আগামী নির্বাচনের সার্বিক প্রক্রিয়া, অংশগ্রহণ ও নীতিগত অবস্থান নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ফখরুল আরও বলেন, বৈঠক শেষে একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, যেখানে বৈঠকটিকে ‘সৌহার্দ্যপূর্ণ ও গঠনমূলক’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। নেতাদের মধ্যে যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়া রয়েছে, সেটি এই আলোচনার মাধ্যমে আরও পরিষ্কার হয়েছে। তিনি দাবি করেন, এ ধরনের উদ্যোগ দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথে জাতিকে এগিয়ে নেবে।