Shahjahan Ali Manon, Nilphamari District Representative:
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন টুনিরহাটে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)-এর আওতাধীন প্রভাতী প্রকল্পে রাস্তা সংস্কার কাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এলাকা পরিদর্শনে দেখা গেছে, নির্মাণাধীন আরসিসি রাস্তার সলিংয়ে ভাঙা ও পুরাতন ইট ব্যবহৃত হচ্ছে, যা সিডিউলবিরোধী।
জানা গেছে, অবকাঠামোগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরে তিনটি গ্রুপে প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। মোট বরাদ্দ ছিল প্রায় ৮১ লাখ ৩১ হাজার ৫০১ টাকা।
- প্রথম গ্রুপ: ২৭,৭৬,৯৯৩ টাকা
- দ্বিতীয় গ্রুপ: ২৬,৯৪,৮৩১ টাকা
- তৃতীয় গ্রুপ: ২৬,৬০,৬৭৭ টাকা
প্রথম ও দ্বিতীয় গ্রুপের কাজে পূর্বে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এলসিএস সদস্যদের দিয়ে ফাঁকা চেকে টাকা উত্তোলন, আংশিক কাজ দেখিয়ে বরাদ্দ আত্মসাৎ ইত্যাদি অভিযোগ রয়েছে। বিগত সরকার পতনের পর প্রকল্পের কাজ স্থগিত হলেও বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনায় আবারও কাজ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার ওপরাংশে ১-২ ইঞ্চি ফাঁক গ্যাপ রেখে নিচু মানের ভাঙা ইট বসানো হচ্ছে। দায়িত্বে থাকা মিস্ত্রি বিভূতি লাল জানান, “স্যার যা বলেছেন, তাই করছি।”
এ বিষয়ে এলসিএস মনিটরিং অ্যান্ড লাইভলিহুড অফিসার মেহেদী ফাহাদ বিন আজাদ (সবুজ) মুঠোফোনে বলেন, “সিডিউল অনুযায়ী নিচে ভাঙা ইট, উপরে নতুন ইট দেয়ার কথা। এতে ফিনিশিং ভালো হবে।”
তবে প্রকল্পের অফিসিয়াল সিডিউলে ১ নম্বর পিকেট ইট ব্যবহারের কথা স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। অথচ বাস্তবে তার ব্যতিক্রম দৃশ্যমান।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. শফিউল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি, ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় প্যানেল চেয়ারম্যান মাজেদুর রহমান বুলু জানান, “কাজটি সম্পর্কে আমি আগে কিছুই জানতাম না। তবে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ পেয়েছি।”
এ বিষয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ—দীর্ঘস্থায়ী রাস্তা নির্মাণের আশায় সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয় হলেও দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের অবহেলা ও অনিয়মের কারণে প্রকল্পের গুণগতমান প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠছে।