অন্তর্বর্তী সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা-কল্পনার মধ্যে পরিষ্কার বার্তা দিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ—প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করছেন না।
শনিবার (২৪ মে) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের এক গুরুত্বপূর্ণ রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, “প্রধান উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গেই আছেন। অন্য উপদেষ্টারাও আছেন। আমাদের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আমরা তা পালন করতেই এসেছি।”
এর আগে সকাল ১১টায় একনেক (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর সোয়া ১২টায় সেই সভা শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হয় উপদেষ্টা পরিষদের এই অনির্ধারিত বৈঠক। বৈঠক চলে টানা দুই ঘণ্টা—দুপুর ১২টা ২০ মিনিট থেকে ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং এতে অংশ নেন অন্তর্বর্তী সরকারের ১৯ জন উপদেষ্টা।
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জরুরি কাজের কারণে বৈঠক শেষ হওয়ার আগেই বেরিয়ে আসেন। সাংবাদিকদের তিনি জানান, বৈঠকে নির্বাচনী প্রস্তুতি, প্রশাসনিক সংস্কার এবং সম্ভাব্য ‘জুলাই ঘোষণা’ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
পরবর্তীতে বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়াকে। বৈঠকের সময় উপদেষ্টা পরিষদের বাইরে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। একনেক সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও পরিকল্পনা সচিবসহ সকল উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে কক্ষ ত্যাগ করতে দেখা যায়, যা এই বৈঠকের গুরুত্বকে আরও জোরালো করে তোলে।
রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও উত্তেজনার এই মুহূর্তে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠককে রাষ্ট্র পরিচালনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আজ বিকেলেই প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। ফলে দেশের রাজনৈতিক গতিপথ কোন দিকে মোড় নেয়, তা নির্ভর করছে এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সিদ্ধান্তের ওপর।
