মো: গোলাম কিবরিয়া, রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ ও এক ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক হওয়ার ঘটনায় সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি, ঘটনার অধিকতর তদন্তে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৯তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
রাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, “তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দেওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষক ও ছাত্রী একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না বলে সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
এর আগে, গত ২১ মে বিভাগের একাডেমিক সভায় উভয়কে বিভাগীয় কার্যক্রম থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত ১১ মে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের ৩০৭ নম্বর কক্ষ থেকে ওই শিক্ষক ও ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী ও দুই সাংবাদিক। পরে এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার পরদিন সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত শিক্ষক ও ছাত্রী অভিযোগ করেন, ভিডিও না ছড়ানোর শর্তে দুই সাংবাদিক, এক সাবেক সহসমন্বয়ক এবং এক শিক্ষার্থী তাদের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা আদায় করেছেন। তবে অভিযুক্ত সাংবাদিকরা চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন।
চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠার পর সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন সজীব (কালবেলা) ও সিরাজুল ইসলাম সুমন (খবরের কাগজ) চাকরি হারান। তারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (রাবিসাস) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সহসভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন। অভিযোগ সামনে আসার পর তাদের সংগঠন থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় অধ্যাপক হেদায়েত উল্লাহ বাদী হয়ে মতিহার থানায় চার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন। অভিযুক্তরা হলেন—দুই সাংবাদিক ছাড়াও আইবিএ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আতাউল্ল্যাহ এবং আইন বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব।