Staff Correspondent:
বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজে সহকারী অধ্যাপক ডা. ফারজানা মাকসুদ রুনার বিরুদ্ধে প্রিন্সিপাল ও এনাটমি বিভাগের প্রধানের সংবাদ সম্মেলনকে মিথ্যাচার ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ডা. রুনা এসব কথা বলেন।
ডা. ফারজানা জানান, তিনি কলেজের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং গত ১৭ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করছেন। তিনি বলেন, “আমি কোনো অন্যায় করিনি। শুধু অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাই আজ আমার অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ডা. মাজহারুল ইসলাম দোলনের প্রত্যক্ষ ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরেই তাকে কর্মক্ষেত্রে নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। গত অক্টোবর মাস থেকে তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে হয়রানি চলছে। তার ডিপার্টমেন্টের এক সহকারী অধ্যাপক তাকে নিয়মিত হুমকি দিচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ডা. রুনা আরও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন ও বারবার শোকজ করা হয়েছে। এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পাবলিক গ্রুপের অ্যাডমিন হিসেবে আমাকে উপস্থাপন করে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে লেখালেখির অভিযোগ তোলা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”
তিনি জানান, অধ্যক্ষ ডা. পরিতোষ কুমার ঘোষ এবং এনাটমি বিভাগের প্রধান ডা. আব্দুর রশীদ তার বিরুদ্ধে যে বক্তব্য সংবাদ সম্মেলনে দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তাদের এই প্রোপাগান্ডার তীব্র প্রতিবাদ জানান তিনি।
ডা. রুনা বলেন, “বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ আমার প্রাণের প্রতিষ্ঠান। এর বিরুদ্ধে কোনো অবস্থান আমার নেই। আমি সবসময় এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও সম্মান রক্ষা করতে চাই। কিন্তু কেউ কেউ আমাকে অন্যায়ভাবে হয়রানি করে চলেছে। আমি নিরুপায় হয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিতে বাধ্য হয়েছি, যাতে একতরফা প্রচারিত মিথ্যাচারকে সত্য বলে না ধরে নেওয়া হয়।”
তিনি প্রধান উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, “এই ষড়যন্ত্রের দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। যারা সত্যিকার অর্থে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চাইছে, তাদের মুখোশ উন্মোচন হোক।”
ডা. ফারজানা মাকসুদ রুনার পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলনের সভাপতি মোহাম্মদ অলিদ বিন সিদ্দিক তালুকদার, যিনি এই বিবৃতি গণমাধ্যমে প্রেরণ করেন।