শিশু শ্রম নিরসনে কেবল একটি মন্ত্রণালয়ের নয়, বরং সরকারের সকল বিভাগ এবং বেসরকারি খাতের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
শনিবার (১৭ মে) মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আয়োজিত একটি কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “কৃষক পরিবার, জেলে এবং ইটভাটা শ্রমিকদের শিশুরা আজও জীবিকার প্রয়োজনে কাজে যুক্ত হচ্ছে। ফলে তারা শিক্ষা ও সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।”
উপদেষ্টা আরও বলেন, “শিশু শ্রম রোধে জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি এবং বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গঠিত কমিটিগুলো কাজ করছে। একইসঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর যৌথ প্রচেষ্টায় শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানান, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (ILO) কনভেনশন ১৩৮ অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার শিশু শ্রম বন্ধে অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি বলেন, “সকলের সম্মিলিত চেষ্টায় একটি শিশুবান্ধব বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।”
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এনডিসি বলেন, “শিশু শ্রম একটি জটিল সামাজিক সমস্যা। আমরা পুনর্বাসন, সামাজিক সুরক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এর মোকাবিলায় কাজ করছি।”
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন আইএলও, ইউনিসেফ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন, টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধি, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।
উপস্থিত বক্তারা মনে করেন, শিশু শ্রমের পেছনে দারিদ্র্য, সচেতনতার অভাব এবং সামাজিক অনাগ্রহ বড় বাধা হয়ে রয়েছে। তাই আইন প্রয়োগের পাশাপাশি দরিদ্র পরিবারগুলোর আর্থিক সক্ষমতা বাড়ানো ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি।