দেশের অন্যতম বিতর্কিত ব্যবসায়িক গ্রুপ এস আলম গ্রুপ যখন ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে হাজার কোটি টাকার লেনদেন-জালিয়াতির অভিযোগে জনআলোচনায়, ঠিক তখনই নতুন করে আলোচনায় এসেছেন এই গ্রুপের ঘনিষ্ঠ এক সাবেক জামায়াত নেতা.
সূত্র বলছে, দীর্ঘদিন জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা এই ব্যক্তি ২০১৯ সালের পর থেকে ‘নতুন পরিচয়ে’ এস আলম গ্রুপের পরামর্শক ও রাজনৈতিক দালাল হিসেবে কাজ করে আসছেন। ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিতর্কিত ঋণ অনুমোদনের সময় তাঁকে সরাসরি সক্রিয় দেখা গেছে।
এস আলমের ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠা এই নেতার রাজনৈতিক পুনরাগমনের ইচ্ছা এখন স্পষ্ট। সম্প্রতি তিনি বিএনপির উচ্চপর্যায়ের কয়েকজন নেতার সঙ্গে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছেন এবং নিজ নির্বাচনী এলাকায় মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে কাজ শুরু করেছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি শুধু দলীয় আদর্শের প্রশ্নই নয়, বরং বিএনপির ‘রাজনৈতিক পরিচ্ছন্নতা’র ওপর বড় প্রশ্নচিহ্ন। এক সময় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জামায়াত থেকে দূরত্ব বজায় রাখার ঘোষণা দেওয়া বিএনপি এখন কীভাবে জামায়াত ঘরানার বিতর্কিত এবং দুর্নীতিবর্ষিত মুখগুলোকে পুনর্বাসন করছে—তা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা।
অভিযোগ রয়েছে, এই সাবেক জামায়াত নেতা এস আলম গ্রুপের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে প্রভাব খাটিয়ে বিপুল পরিমাণ ঋণ অনুমোদন এবং লেনদেন ব্যবস্থায় মধ্যস্থতার বিনিময়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একাধিক অভিযোগ জমা থাকলেও, এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এদিকে বিএনপির অনেক তৃণমূল নেতা এই মনোনয়নপ্রত্যাশা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, আদর্শহীন সুযোগসন্ধানী গোষ্ঠী বিএনপিকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক বৈধতা ও নিরাপত্তা খুঁজছে.