মো. মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি
কারাবন্ধী সাবেক মন্ত্রী ঝালকাঠি-২ আসনের সাংসদ আমির হোসেন আমুর ব্যক্তিগত কম্পিউটার অপারেটর আরিফুল ইসলাম শাওন ওরফে পিএস শাওনকে ঢাকার একটি বাসা থেকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকালে রাজধানীর শুভাঢ্যা এলাকার একটি বাসা থেকে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে আটক করে। শাওন দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন এবং ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি উধাও হয়ে যান।
জনশ্রুতি অনুযায়ী, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আমির হোসেন আমুর বাসা থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা, ডলার এবং স্বর্ণালংকার নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল শাওন। তিনি ছিলেন আমুর বিশেষ সহকারী ফখরুল মজিদ কিরণের সহকারী হিসেবে, যিনি কম্পিউটার ব্যবহার জানতেন না। এর ফলে শাওনকে তার কম্পিউটার অপারেটিংয়ের কাজে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
শাওন শুরুতে আমির হোসেন আমুর বাসায় কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন, কিন্তু তার পরবর্তীতে তিনি শাওন খান হিসেবে ঝালকাঠির আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে পরিচিত হয়ে ওঠেন। তার কর্তৃত্ব ছিল জেলা পর্যায়ের চাকরি, টেন্ডার বাণিজ্য, ভোট ডাকাতি, বরাদ্দ ইত্যাদি কাজে, এবং তার নির্দেশে এসব কাজ করা হতো।
শাওন খানের বাবাও ছিলেন নলছিটি পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং কৃষকলীগ সভাপতি মো. ফিরোজ আলম। শাওন তার রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, তার ছোট ভাই মুকুল খানকে চাকরি দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম বন্দরে এবং ঝালকাঠি, নলছিটি, ঢাকায় একাধিক প্লট ও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।
এদিকে, ঢাকায় শাওন খানের আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে ঝালকাঠি জেলা বাসী সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছে।