মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি
ভারতে পাচারের শিকার হয়ে ৩ থেকে ৫ বছর কারাভোগের পর দেশে ফিরেছেন দুই বাংলাদেশি নারী-পুরুষ। মঙ্গলবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
ফিরে আসা ব্যক্তিরা হলেন—যশোরের কেশবপুর উপজেলার সরাফপুর গ্রামের তহমিনা ও মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার যাদুয়ারচর গ্রামের নুরুজ্জামান। তহমিনা ভারতে তিন বছর এবং নুরুজ্জামান পাঁচ বছর কারাভোগ করেন।
জানা গেছে, অভাব দূর করতে কাজের সন্ধানে তারা কলকাতায় পাড়ি জমিয়েছিলেন। সেখানে গৃহকর্মে নিয়োজিত থাকাকালে পুলিশ তাদের আটক করে এবং আদালতে প্রেরণ করে। আদালত তহমিনাকে তিন বছর ও নুরুজ্জামানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করে। সাজা শেষে তাদের একটি বেসরকারি এনজিও সংস্থা সেফ হোমে আশ্রয় দেয়। পরে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে মঙ্গলবার দেশে ফেরত আনা হয়।
এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ, বিজিবি, স্থানীয় এনজিও সংস্থা ‘জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার’, ভারতের বিএসএফ ও সরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম আহম্মেদ বলেন, “ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা বাংলাদেশি দুই নাগরিককে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পরবর্তীতে এনজিও সংস্থা ‘জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার’ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।”
পাচারের শিকার এ ধরনের মানুষের সুরক্ষা ও পুনর্বাসনে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।