Md. Monir Hossain Sohel, Chatkhil Correspondent:
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় প্রবাসী তাহেরা বেগম (৬৫) হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ পার হলেও এখনো সনাক্ত হয়নি খুনিরা। আততায়ীর ছুরিকাঘাতে নিজ বাড়িতে নিহত হন তিনি। ঘটনার পর পেরিয়ে গেছে সাতদিন, কিন্তু তদন্তে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
গত ৭ মে গভীর রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের সময়, রান্নাঘরের জানালার পাশের এক্সজস্ট ফ্যান খুলে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে অজ্ঞাত হামলাকারী। পরপর ছুরিকাঘাতে তাহেরা বেগমকে হত্যা করা হয়। নিহত তাহেরা বেগম চাটখিল খিলপাড়া বাজার সংলগ্ন মুন্সিবাড়ির বাসিন্দা এবং বাজারের ব্যবসায়ী তারেক বিন ইসলামের মা।
মানববন্ধনে ন্যায়বিচারের দাবি
১২ মে (সোমবার) বিকেলে এলাকাবাসী ও বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠনের উদ্যোগে খিলপাড়া বাজারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে সরব হন বক্তারা।
বক্তব্য রাখেন—
- চাটখিল উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মহিউদ্দিন হাসান
- সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম কিরন
- ইসলামী আন্দোলনের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জসিম উদ্দিন
- ইউনিয়ন নেতা আব্দুল কাদের
- হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা ফরিদ উদ্দিন
- খিলপাড়া ব্লাড ডোনেট ক্লাবের মেহেদী হাসান বকসী প্রমুখ
বক্তারা বলেন, “এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন এখনো কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি—এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আগামী তিন দিনের মধ্যে খুনিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার না করা হলে, আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।”
নিষ্ক্রিয় তদন্তে ক্ষোভ
স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, একটি স্পষ্ট পরিকল্পিত খুনের ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম খুব ধীর গতিতে চলছে। বাড়ির ভেতরে প্রবেশের সুস্পষ্ট চিহ্ন ও ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শীদের কিছু তথ্য থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।
তাহেরা বেগম ছিলেন একজন ধর্মপরায়ণ নারী এবং দীর্ঘদিন প্রবাসে বসবাসের পর দেশে ফিরে ছেলে ও পরিবার নিয়ে থাকতেন। তার এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডে এলাকায় চরম শোক ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
অপরাধী গ্রেপ্তারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ
মানববন্ধন থেকে বক্তারা স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, দ্রুত তদন্ত জোরদার করে খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে এলাকায় শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের জন্য সকলের দৃষ্টি এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দিকে।