Staff Reporter
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-২ থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার সময় আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো বিরোধী দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন, গুম, হত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভীতি ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
বিশেষ করে গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলমান ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণহত্যা, আগুনে পুড়িয়ে হত্যা, বেআইনি আটক ও লুটপাটের অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগ দেশি-বিদেশি তদন্ত ও প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয়েছে বলেও জানানো হয় প্রজ্ঞাপনে।
সরকারের দাবি, এসব অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থায় দলটির নেতাকর্মীরা বিচার বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি, সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব এবং আইনের শাসনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ ও এর সংশোধিত অধ্যাদেশ ২০২৫-এর আওতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটির পক্ষ থেকে কোনো রকম মিছিল, সভা-সমাবেশ, প্রকাশনা, মিডিয়া প্রচারণা বা অনলাইন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা যাবে না।
এর আগে, গত শনিবার অন্তর্বর্তী সরকারের এক জরুরি মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভা শেষে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল সংবাদ সম্মেলনে সিদ্ধান্তের কথা জানান।