Staff Correspondent:
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে “সঠিক” বলে অভিহিত করেছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রবিবার (১১ মে) এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানান।
তিনি বলেন, “আমরা আনন্দিত যে বিলম্বে হলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অবশেষে ফ্যাসিবাদী সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি সময়োচিত এবং সঠিক সিদ্ধান্ত।”
বিএনপি মনে করে, গুম, খুন, নিপীড়নের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে দীর্ঘদিন জড়িত থাকা একটি দলকে আইনি কাঠামোর মধ্য দিয়েই নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল। তারা আরও জানায়, যদি আগেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো, তাহলে অন্তর্বর্তী সরকারকে জনচাপের মুখে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হতো না।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা ইতিপূর্বে প্রধান উপদেষ্টার কাছে একাধিকবার লিখিতভাবে আবেদন করেছি, যাতে আওয়ামী লীগের মতো ফ্যাসিবাদী দলকে নিষিদ্ধ করে দেশের রাজনীতিকে শুদ্ধ করা যায়।”
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, অতীতে প্রশাসনিক আদেশে জামায়াতে ইসলামীর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ করেছিল বিএনপি। “আমরা প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা নয়, বরং আইনগত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে দল নিষিদ্ধের পক্ষে,” বলেন তিনি।
তবে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে এখনও জনগণের আন্দোলন চলছে বলে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, “১৬ বছর ধরে জনগণ ভোটাধিকারবঞ্চিত। সেই লড়াই এখনো শেষ হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা। তা না হলে জনমনে ক্ষোভ আরও বাড়বে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।