রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে এগিয়ে আসছে তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরাসরি আলোচনা আয়োজনে তুরস্ক সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
রোববার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ টেলিফোন আলাপে এরদোগান এ কথা জানান। তুর্কি গণমাধ্যম ডেইলি সাবাহর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, আলোচনার এই উদ্যোগকে তিনি ‘একটি ঐতিহাসিক সুযোগ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
এর আগে শনিবার ইউক্রেন ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থন জানান। এই প্রস্তাবের পরদিনই পুতিন আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেন এবং বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে তুরস্কে সরাসরি আলোচনা শুরু করা যেতে পারে।
তুরস্ক সেই প্রস্তাবে দ্রুত সাড়া দেয়। প্রেসিডেন্ট এরদোগানের কার্যালয় জানায়, রাশিয়ার নেতার সঙ্গে কথা বলার পর তিনি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন এবং আলোচনার জন্য তুরস্কের প্রস্তুতির কথা জানান।
এরদোগান বলেন, “ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিকভাবে একটি সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে। এই মুহূর্তটিকে কাজে লাগাতে হবে। তুরস্ক আলোচনার আয়োজনসহ সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অবস্থান তুরস্ককে আবারও মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ শান্তির দূত হিসেবে সামনে নিয়ে এসেছে। দীর্ঘদিন ধরেই আঙ্কারা রাশিয়া ও ইউক্রেন—উভয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং ২০২২ সালেও যুদ্ধের শুরুতে শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক বৈঠকের আয়োজন করেছিল তুরস্ক।
এই নতুন শান্তি উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে, ইউরোপ ও বিশ্বরাজনীতির জন্য এটি হতে পারে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। এখন আন্তর্জাতিক মহলের নজর থাকবে—এই আলোচনা কতটা ফলপ্রসূ হয় এবং যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব বাস্তবে রূপ নিতে পারে কিনা, সেদিকে।