ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি , মোঃ মামুনুর রশিদ আবির:
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পৌরসভার প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাওসার শেখ এক জরুরি সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, ঘোড়াঘাট পৌরসভা শুধু উপকারভোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-কে সহযোগিতা করে থাকে। টিসিবি কোনোভাবেই পৌরসভার নিজস্ব কার্যক্রম নয়।
তিনি বলেন, “টিসিবি একটি স্বতন্ত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান, যারা দেশে বিভিন্ন স্থানীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় উপকারভোগীদের বাছাই করে। একমাত্র যাদের কার্ড টিসিবির নিজস্ব সিস্টেমে ‘অ্যাকটিভ’ থাকে, কেবল তাদের কাছেই বরাদ্দকৃত পণ্য পাঠানো হয়।”
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২০২৩ সাল পর্যন্ত ঘোড়াঘাট পৌরসভায় টিসিবির কার্ডধারীর সংখ্যা ছিল ১,৬৮০ জন। ২০২৪ সালে নতুন করে ১,১৬৫টি কার্ড যুক্ত হওয়ায় মোট কার্ডের সংখ্যা দাঁড়ায় ২,৮৪৫-এ। এর মধ্যে ১,৬৮০ জনের জন্য স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড এসেছে। তবে বিভিন্ন ভুলের কারণে ৫৭৩টি কার্ড বাতিল করা হয়।
অবশিষ্ট ১,১৭০টি স্মার্ট কার্ড পৌরসভা থেকে বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হলে দেখা যায়, ৩৪৭ জন উপকারভোগী কার্ড গ্রহণ করেননি বা অ্যাকটিভ করেননি। ফলে বর্তমানে ৭৬০ জন উপকারভোগীর কার্ড অ্যাকটিভ রয়েছে এবং টিসিবি শুধুমাত্র তাদের কাছেই ন্যায্যমূল্যে পণ্য সরবরাহ করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, কার্ড অ্যাকটিভ না হওয়ার পেছনে ভুল তথ্য প্রদানের জন্য উপকারভোগীরাই অনেকাংশে দায়ী। অনেকেই পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর ভিন্নভাবে দিয়েছেন, আবার একই পরিবারের একাধিক সদস্য একই সুবিধা পাওয়ার জন্য চেষ্টা করেছেন, যা সিস্টেম থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে।
পৌর প্রশাসক কাওসার শেখ বলেন, “টিসিবির সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রমে পৌরসভার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। গুজবে কান না দিয়ে সঠিক তথ্য জানা উচিত। পৌরসভা শুধু সহযোগী ভূমিকা পালন করে থাকে।”