চার মাস চিকিৎসা শেষে আজ মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় নিয়ে যাওয়া হয়।
বেগম জিয়ার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের খবরে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দেয় উচ্ছ্বাস। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে ছুটে আসেন নেতাকর্মীরা। গুলশান, বনানী, বিমানবন্দর সড়কজুড়ে তৈরি হয় জনসমুদ্র। অনেকেই হাতে ফুল, দলের পতাকা ও ব্যানার নিয়ে নেত্রীর স্বাগত জানাতে অপেক্ষা করেন দীর্ঘ সময় ধরে।
বেগম জিয়ার দেশে ফেরা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও গুরুত্বপূর্ণভাবে প্রকাশিত হয়েছে। কাতারভিত্তিক আল জাজিরা লিখেছে, “গণতন্ত্রের সংকটপূর্ণ সময়ে দেশে ফিরলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।” খবরে উল্লেখ করা হয়, লন্ডনে চিকিৎসা শেষে তাঁর এই প্রত্যাবর্তনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ আরও বেড়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ এক প্রতিবেদনে লিখেছে, “বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তন নির্বাচনের চাপ বাড়াচ্ছে।” তারা উল্লেখ করে, শেখ হাসিনার পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয় এবং ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে রাজনৈতিক চাপ বাড়ছে।
ভারতের টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া শিরোনাম করেছে, “যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।” একইসঙ্গে স্ট্রেইট টাইমস, আইরিশ নিউজ, এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও গুরুত্বের সঙ্গে প্রচারিত হয়েছে এই খবর।
এসব প্রতিবেদনে খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তনকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর একটি বড় রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি নেত্রীর দেশে ফেরা দলটির মনোবল বাড়াবে এবং জাতীয় নির্বাচনের দাবিকে আরও বেগবান করবে।
বর্তমানে দেশে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে শাসন চলছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন। এই প্রেক্ষাপটে খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তন শুধু প্রতীকী নয়, দেশের রাজনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ এক পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।