Staff Reporter:
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট (ইসকন) নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল আবেদনের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেওয়া হয়।
চিন্ময়ের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ।
এর আগে গত সপ্তাহে হাইকোর্ট চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে জামিন দেন। পরে চেম্বার আদালত তা স্থগিত করেন। নতুন শুনানির জন্য দিন ধার্য করার পর আজ পুনরায় শুনানি শেষে জামিন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত দেন আদালত।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয় ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর। এর আগে ২৫ অক্টোবর তাঁর নেতৃত্বে চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের একটি বৃহৎ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগ রয়েছে, সমাবেশে জাতীয় পতাকা অবমাননা করা হয়। এ ঘটনায় রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলা দায়ের হয়, যাতে আরও ১৮ জনকে আসামি করা হয়।
২০২৩ সালের ২৫ নভেম্বর ঢাকার মিরপুর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তবে এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ঘটে যায় আরও ভয়াবহ এক ঘটনা। চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর দিন চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে ইসকনের অনুসারীরা বিক্ষোভ করে এবং আইনজীবী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা চালায়। ওই সময় সরকারি আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যার ঘটনায় ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আসামি করে পৃথক মামলা করা হয়।
সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে সরকারি আইনজীবী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন। পাশাপাশি পুলিশের কাজে বাধা, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত আরও চারটি মামলায়ও তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এই মামলাগুলোর তদন্ত চলমান রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে চিন্ময়কে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনও করা হতে পারে।