দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে আজ (৬ মে) সকালে দেশে ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। প্রায় দুই বছর পর তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মাঝে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। এ সময় হাজার হাজার মানুষ তাকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দর এলাকায় জড়ো হন।
দেশে ফিরেই বেগম খালেদা জিয়া দেশবাসীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “দেশের মানুষ সবসময় আমার পাশে ছিলেন। আপনাদের দোয়া, ভালোবাসা এবং বিশ্বাসই আমাকে বারবার শক্তি দিয়েছে। আমি আপনাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।”
বিএনপির নেতারা জানান, চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরা বেগম জিয়ার জন্য এক আবেগঘন মুহূর্ত। তিনি প্রথমেই দলের নেতাকর্মীদের খোঁজ-খবর নেন এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে ফেরার পর খালেদা জিয়া আপাতত রাজধানীর গুলশানের নিজ বাসভবন ফিরোজায় বিশ্রামে থাকবেন। তবে শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে তিনি দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা দেবেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “দেশনেত্রীর ফিরে আসা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার। তার নেতৃত্বে আবারও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন জোরদার হবে।”
খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা শুধু তার পরিবার ও দলের জন্য নয়, দেশের রাজনীতিতেও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, এই প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে একটি নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতা তৈরি হতে পারে।
দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে খালেদা জিয়া সবার জন্য দোয়া কামনা করেন এবং শান্তি, সম্প্রীতি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।