পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের উত্তপ্ত তিনটি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে। চলতি শনিবার ও রোববার এসব সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত আটজন সন্ত্রাসী। দেশটির সেনাবাহিনীর এক সদস্যও নিহত হয়েছেন।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানায়, গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উত্তর ওয়াজিরিস্তান, খাইবার ও বান্নু জেলায় একযোগে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। এ সময় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
বিশেষ করে উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মির আলী এলাকায় চালানো অভিযানে সেনাবাহিনী সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন সন্ত্রাসী নিহত হয়।
এছাড়া দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে আরেকটি অভিযানে আরও দুই সন্ত্রাসী নিহত হয়। এই অভিযানের সময় তীব্র গুলিবিনিময়ে শহীদ হন সেনাবাহিনীর সাহসী সদস্য নায়েক মুজাহিদ খান। তার বয়স ছিল ৪০ বছর এবং তিনি কোহাট জেলার বাসিন্দা।
অন্যদিকে, খাইবার ও বান্নু জেলাতেও পৃথক দুটি সংঘর্ষে আরও তিনজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সেনাবাহিনী। এসব অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করেছেন।
আইএসপিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিহত সন্ত্রাসীরা ওই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তা বাহিনী ও নিরীহ সাধারণ জনগণের ওপর হামলা চালিয়ে আসছিল।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের নভেম্বরে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) সরকার ঘোষিত যুদ্ধবিরতি প্রত্যাহার করার পর থেকে দেশটিতে বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসী তৎপরতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে।