মঙ্গলবার (৬ মে) বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসা ফিরোজার উদ্দেশে রওনা দেন। পথে বিএনপি নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে নেতাকর্মীদের ঢল নামে।
এর আগে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে খালেদা জিয়াকে বহনকারী কাতার রয়্যাল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরে বিএনপি চেয়ারপারসনকে স্বাগত জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা।

খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে সকাল থেকেই বিমানবন্দর এলাকায় নেতাকর্মীদের ঢল নামে। বেগম জিয়া কিছুটা সুস্থ হয়ে দেশে ফেরায় স্বস্তি প্রকাশ করেন তারা। দেশে ফিরে আবারও বিএনপির নেতৃত্ব ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ভূমিকা রাখবেন এমনটাই প্রত্যাশা করেন নেতাকর্মীরা।
লন্ডন সময় সোমবার (৫ মে) দুপুরে তারেক রহমান নিজেই গাড়ি চালিয়ে মাকে নিয়ে আসেন হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ১৭ বছর ধরে প্রবাসে অবস্থান করা বড় ছেলে তারেক রহমানের জন্য মা এবং স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে বিদায় দেয়া ছিল আবেগের।
বিমানবন্দর এলাকায় তাদের গাড়ি পৌঁছালে বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদায় জানাতে আসেন হাজার হাজার প্রবাসী নেতাকর্মী। স্লোগান দিয়ে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানান। প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিদায়ী অভ্যর্ত্থনায় সিক্ত হন বেগম জিয়া। এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাস্যোজ্জ্বল মুখে হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানান বিএনপি চেয়ারপারসন। সেইসঙ্গে নেতাকর্মীদের তারেক রহমানকে দেখে রাখতে বলেন বেগম জিয়া।
লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা ও পরিবারের সান্নিধ্যে ৪ মাস কাটিয়ে দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া। দুই পুত্রবধূ ছাড়াও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য, যুক্তরাজ্য বিএনপি সভাপতি এম এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক কায়সার এম আহমেদও দেশে ফিরেছেন।