বিয়ের প্রতিশ্রুতি ও চলচ্চিত্রে নায়িকা বানানোর আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ, নির্যাতন ও গর্ভপাত করানোর অভিযোগে আলোচিত ইউটিউবার ও স্বঘোষিত অভিনেতা আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এ গত রোববার মামলাটি দায়ের করেন এক নারী।
মামলার বাদী অভিযোগ করেছেন, হিরো আলম তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পাশাপাশি চলচ্চিত্রে নায়িকা বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ধার নেন। পরে এক মৌলভিকে দিয়ে কবুল বলিয়ে তাঁকে ‘বিয়ে’ করার কথা বলে বিভিন্ন জায়গায় ভাড়া বাসায় একসঙ্গে বসবাস করেন।
বাদীর অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে গত ১৮ এপ্রিল তাঁকে বগুড়ার হিরো আলমের নিজ বাড়িতে নিয়ে গর্ভপাতের জন্য চাপ দেওয়া হয়। তিনি রাজি না হওয়ায় ২১ এপ্রিল হিরো আলমসহ অন্যান্য অভিযুক্তরা তাঁকে মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতরভাবে রক্তক্ষরণে আক্রান্ত হয়ে শহরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি হন, যেখানে তাঁর গর্ভপাত ঘটে। পরবর্তীতে ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
অভিযুক্ত অপর পাঁচজন হলেন হিরো আলমের মেয়ে আলো খাতুন, তাঁর সহকারী আল আমিন, মালেক, মালেকের স্ত্রী জেরিন এবং আহসান হাবিব।
মামলাটি আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আনোয়ারুল হক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং মামলার তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও বগুড়ার পুলিশ সুপারকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হিরো আলম প্রথম আলোকে বলেন, “আমি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রের শিকার। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে এই মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি সুষ্ঠু তদন্ত চাই।”
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আলী আজগর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।