আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে, আমেরিকার বাইরে তৈরি সমস্ত বিদেশি চলচ্চিত্রের উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। তিনি এই সিদ্ধান্তের পেছনে যুক্তি দিয়েছেন যে, আন্তর্জাতিক প্রণোদনা ও কর ছাড়ের মাধ্যমে বিদেশি দেশগুলি আমেরিকান চলচ্চিত্র নির্মাতাদের আকৃষ্ট করছে, যা আমেরিকার চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য হুমকি। ট্রাম্প এই প্রবণতাকে “জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি” এবং “বিদেশি প্রচারণা ও প্রভাব” হিসেবে বর্ণনা করেছেন ।
এই ঘোষণার ফলে বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র শিল্পে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্ট, যেখানে “গডজিলা এক্স কং” এবং “অ্যাকুয়াম্যান” এর মতো বড় বাজেটের চলচ্চিত্রগুলি নির্মিত হয়েছে, সেখানে এই শুল্কের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। স্থানীয় শিল্পপতিরা এই শুল্ককে “মৃত্যু” হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এটি স্থানীয় চলচ্চিত্র অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে পারে ।
চীনা সরকার এই শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় আমেরিকান চলচ্চিত্র আমদানির সংখ্যা কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। চীনের জাতীয় চলচ্চিত্র প্রশাসন জানিয়েছে যে, তারা মার্কেটের নিয়ম অনুসরণ করবে এবং দর্শকদের পছন্দের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমেরিকান চলচ্চিত্রের সংখ্যা হ্রাস করবে ।
এই শুল্কের ফলে আমেরিকার চলচ্চিত্র শিল্পে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে, বিশেষ করে যেসব চলচ্চিত্র বিদেশে নির্মিত হয় বা আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে তৈরি হয়। এছাড়াও, এই শুল্কের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে আমেরিকান চলচ্চিত্রের প্রতিযোগিতা হ্রাস পেতে পারে এবং বিশ্বব্যাপী বক্স অফিস আয়ে প্রভাব ফেলতে পারে ।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্র শিল্পে একটি নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং বাজারের উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে।