Sylhet Bureau:
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ নুরুল হকের পদত্যাগ নিয়ে চলছে গুঞ্জন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালেও শোভা পাচ্ছে তার পদত্যাগের কাহিনী। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বরাবরে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে আওয়ামী রাজনীতি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন মর্মে সংবাদ প্রচার হচ্ছে। ৩০ বছর আওয়ামিলীগের রাজনীতি থেকে হঠাৎ পদত্যাগ নিয়ে শুরু হয়েছে কানাঘুষা।অনেকেই এটাকে নাটক বলে মন্তব্য করছেন।
শনিবার (৩ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্বনাথ মডেল প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন। অথচ এই নুরুল ইসলাম ছিলেন সাবেক এমপি শফিকুর রহমানের খাস অনুসারী এবং বিশ্বনাথ বিএনপির নেতা কর্মীদের আতঙ্ক। তিনি গত ৫ আগষ্টের পুর্বে ছিলেন আওয়ামিলীগের বিরুদ্ধে অবস্হান নেয়া বিএনপি জামায়াতের গুপ্তচর। সে সময় তিনি পুলিশ প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্কলা বাহিনীর নিকট বিএনপি জামায়াতের নেতা কর্মীদের নাম ঠিকানা পৌছে দেয়ার কাজ করতেন।
৫ আগষ্টের পর মোঃ নুরুল হক দীর্ঘদিন আত্বগোপনে থাকার পর এবার তিনি বের হয়ে পলাতক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান ও শফিকুর রহমান চৌধুরীর পরামর্শে পদত্যাগের নাটক করছেন বলে সুত্রে জানা গেছে।
সুত্র জানায়, আনোয়ারুজ্জামান ও শফিকুর রহমান চৌধুরীর পরামর্শে নুরুল হক পদত্যাগের নাটক করছেন। তার কারন তিনি ফ্রী হয়ে এলাকার সব খবরা খবর পৌছাতে পারবেন এমনকি মামলা থেকেও রেহাই পাবেন। বর্তমানে তিনি গোপনে আওয়ামিলীগের হয়ে কাজ করার চিন্তাভাবনা করছেন বলেও সুত্র জানায়।
জানা যায়, যাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা হয় নাই তাদেরকেই কাজে লাগাচ্ছেন আনোয়ারুজ্জামান। এলাকায় এরা গুপ্তচরের কাজ করবে এই মর্মে তাদেরকে আর্থিক সাহায্যও দেয়া হচ্ছেে।
নুরুল হক বিশ্বনাথ উপজেলার জানাইয়া গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর পুত্র ও বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য।
তিনি ১৯৯৫ইং সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভাবে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদকের দায়ীত্বে নিযুক্ত ছিলেন।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানান, পারিবারিক নানা সমস্যার কারণে দলীয় পদ-পদবী থেকে তিনি অব্যাহতিসহ রাজনীতি থেকে চির বিদায় নিলেন। আওয়ামী লীগ ছাড়াও তিনি অন্য কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত হবেন না বলেও উল্লেখ করেন। আজ থেকে দলীয় কোন কার্যক্রমের সাথে তার আর কোন সম্পর্ক নাই এবং এব্যাপারে আর কেউ তার সঙ্গে যোগাযোগ না করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
তবে তার এ ঘোষনাকে নাটক ছাড়া কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। তাদের দাবী ৩০ বছর আওয়ামিলীগের হয়ে কাজ করা ব্যাক্তি হঠাৎ করে পদত্যাগ করতে পারে না। নিশ্চয় কোন কু-বুদ্ধি কাজ করছে।