গ্রীসের উত্তরাঞ্চলের থেসালোনিকি শহরে ব্যাংকের বাইরে বোমা রাখতে গিয়ে বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন এক নারী। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী বলছে, ৩৮ বছর বয়সী ওই নারী নিজের হাতেই বিস্ফোরক ডিভাইসটি বহন করছিলেন এবং সেটি একটি ব্যাংকের এটিএমে রাখার চেষ্টা করছিলেন। ঠিক সে সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে, এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
শনিবার (৩ মে) ভোররাতে এই বিস্ফোরণের ফলে আশপাশের দোকান ও পার্ক করা গাড়িগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ছিল একটি পরিকল্পিত বিস্ফোরণের অংশ, তবে ডিভাইসটির ব্যবহারে ভুলের কারণে সেটি নির্ধারিত স্থানে পৌঁছানোর আগেই বিস্ফোরিত হয়।
একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নিহত নারী একটি বিস্ফোরক ডিভাইস নিয়ে এটিএমে তা স্থাপন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রক্রিয়াটির সময়েই একটি ত্রুটির কারণে সেটি আগেই বিস্ফোরিত হয়ে যায়।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস সূত্রে জানা গেছে, নিহত নারীকে পুলিশ আগেও একাধিক ডাকাতির ঘটনায় জড়িত হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। তার অতীত রেকর্ড ঘেঁটে দেখা হচ্ছে, এই ঘটনায় কোনো উগ্র-বামপন্থি গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না। নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, বিষয়টি এখন একটি পূর্ণাঙ্গ ফৌজদারি তদন্তের আওতায় রয়েছে।
এই বিস্ফোরণ এমন এক সময়ে ঘটল, যখন গ্রীসের রাজধানী এথেন্সে রেলওয়ে অফিসের বাইরে হওয়া আরেকটি বোমা হামলার এক মাসও পেরোয়নি। ধারাবাহিক এই ঘটনার পেছনে একটি সুসংগঠিত নেটওয়ার্ক কাজ করছে কিনা, সে বিষয়েও তদন্ত চলছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের বিস্ফোরণ শুধু জননিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে না, বরং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকেও হুমকির মুখে ফেলে দেয়। গ্রীসের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, তারা এখন এসব ঘটনার পেছনের মূল পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।