ভারতের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক ডার বুধবার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পাকিস্তান নিজে থেকে কোনো সামরিক উত্তেজনা শুরু করবে না, তবে উস্কানি পেলে “জোরালো জবাব” দেওয়া হবে।
ইসলামাবাদে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শফকাত আলী খান। তাঁরা সাম্প্রতিক নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC) ঘিরে সীমান্ত সংঘাত এবং পাকিস্তানে “ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসবাদ” সম্পর্কেও বক্তব্য দেন।
ইশাক ডার বলেন, “পাকিস্তান শান্তি চায়, তবে এর অর্থ এই নয় যে আমরা দুর্বল। যদি আমাদের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তবে তার জবাব হবে নির্ভুল ও দৃঢ়।”
তিনি ভারতের ওপর সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার অভিযোগ পুনরায় উত্থাপন করেন, বিশেষ করে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশে ঘটা সাম্প্রতিক হামলাগুলোর পেছনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতা থাকার দাবি করেন।
আইএসপিআর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, “পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে এবং দেশ রক্ষায় কোনো আপস করবে না। আমরা শান্তি চাই, কিন্তু যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হলে তার উপযুক্ত জবাব দিতে জানি।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শফকাত আলী খান জানান, “পাকিস্তান ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ভারতের আগ্রাসী মনোভাব এবং সন্ত্রাসে সম্পৃক্ততার বিষয়ে অবহিত করেছে। আমরা চাই জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ফোরামগুলো এ বিষয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা নিক।”
এ বক্তব্য এমন এক সময়ে এলো যখন পাকিস্তান অভিযোগ করছে, ভারত সীমান্ত এলাকায় “ইচ্ছাকৃত উত্তেজনা” সৃষ্টি করছে এবং পাহেলগাম হামলার অজুহাতে যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছে। অপরদিকে, ভারত দাবি করেছে, পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীই ওই হামলার জন্য দায়ী — যদিও এখনও কোনো প্রমাণ প্রকাশ করা হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও শান্তি রক্ষায় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করার জন্য পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সহযোগীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।