ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় চলতি মৌসুমে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ভুট্টার বাম্পার ফলন।
বাজারে মিলছে ভুট্টার ভালো দাম। আনন্দে আত্বহারা ভুট্টা চাষিরা।
সরেজমিনে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়,
বিস্তৃত ফসলের মাঠে জমি থেকে ভুট্টা ভাঙ্গাতে ব্যস্তÍ সময় পার করছে চাষিরা।
ভর্নাপাড়া গ্রামের মাসুদ মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ভুট্টা চাষের মাধ্যমে আমাদের
ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে এটা সত্য। কিন্তু আমরা ন্যায্য দাম পাই না। তাছাড়া এবার সার ও
বীজের দাম অনেক বেশি। ফলে আমাদের উৎপাদন খরচও বেড়ে গেছে।
বরাতিপুর গ্রামের কৃষক শাজাহান মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ভুট্টার বাম্পার ফলন
হয়েছে। আশানুরূপ দাম পাওয়ার পাশাপাশি ভুট্টা বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ভোগান্তিতে
পড়তে হচ্ছে না। খুচরা ও পাইকারি ক্রেতা এবং বিভিন্ন কোম্পানি সরাসরি কৃষকের কাছ
থেকে ভুট্টা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে।
নদীর দুইতীরে এক সময় দেখা যেত শুধুই রাশি রাশি বালু। নদীতে ভিটে-বাড়িসহ ফসলি জমি
হারানো মানুষের দুঃখ কষ্ট ছিল নিত্য দিনের সঙ্গী। অন্যান্য ফসলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায়,
ঘোড়াঘাটের সর্বত্র এখন চাষ হচ্ছে এই ভুট্টা। ভুট্টা চাষের মাধ্যমে পাল্টে যাচ্ছে এ
উপজেলার মানুষের জীবনযাত্রা। তবে, কৃষকদের দাবি, এখানে সরকারিভাবে ভুট্টা ক্রয় কেন্দ্র
চালু করা হলে, তারা পাবেন ন্যায্যমূল্য।
উপজেলার সিংড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রভাষক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ভুট্টা চাষের
মাধ্যমে পাল্টে যাচ্ছে করতোয়া তীরবর্তী চরাঞ্চলসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক
ভ‚ট্টাসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ হচ্ছে।
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান বলেন, এ উপজেলার উপজেলায় ১
হাজার ৯২৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে। হেক্টর প্রতি ফলন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১২ মেট্রিক
টন। এ হিসেবে ২৩ হাজার মে. টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভুট্টা চাষের
মাধ্যমে কৃষকরা কৃষিতে বিপব ঘটানোর চেষ্টা করছে। আমরা তাদেরকে সব সময় পরামর্শ
দিয়ে যাচ্ছি।