আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা ঘোষণা করেছে ভারত।
দেশটি এই হামলার নেপথ্যে পাকিস্তানকেই দায়ী করেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ সন্দেহভাজন তিন হামলাকারীর স্কেচ প্রকাশ করেছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ সন্দেহভাজন দুইজন হামলাকারীকে চিহ্নিত করেছে। তারা পাকিস্তানের নাগরিক। তাদের গ্রেপ্তারে নির্ভরযোগ্য তথ্য দিতে পারলে ২০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
অনন্তনাগের পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন হামলাকারীরা হচ্ছেন হাশিম মুসা ওরফে সুলেমান। তিনি পাকিস্তানের নাগরিক। এ ছাড়া আলি ভাই ওরফে তালহা ভাই- তিনিও পাকিস্তানের নাগরিক।
আরেক সন্দেহভাজন হামলাকারী হিসেবে আব্দুল হুসেইন থোকারের নাম জানিয়েছে পুলিশ। তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার বাসিন্দা।
দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে এই তিনজন হামলাকারীই পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়েবার সদস্য।
এদিকে হামলাকারী তার সমর্থকদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার মোদি বলেছেন, ভারত প্রতিটা সন্ত্রাসী এবং তাদের সমর্থকদের চিহ্নিত করবে, তাদের খুঁজে বের করবে এবং শাস্তি দেবে। তিনি বলেছেন, আমাদের মনোবল কখনও ভেঙে যাবে না।
বিহারের মধুবানিতে সরকারি এক অনুষ্ঠানে এসব মন্তব্য করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের প্রতি নীরব শ্রদ্ধা জানিয়ে ভাষণ শুরু করেন মোদি।
তিনি বলেছেন, পেহেলগামে সন্ত্রাসীরা যে নির্মমভাবে নিরীহ পর্যটকদের হত্যা করেছে, তাতে সমগ্র দেশ বেদনার্ত। পুরো দেশ শোকাহত পরিবারের পাশে আছে। সরকার আহতদের সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।
যেসব সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে এবং যারা এর পরিকল্পনা করেছে তারা এমন শাস্তি পাবে যে কল্পনাও করতে পারবে না। সন্ত্রাসের আশ্রয়স্থলে যা কিছু অবশিষ্ট আছে তা ধ্বংস করার সময় এসেছে, বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।