ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, বাজারে বাণিজ্য উপদেষ্টার মনোযোগ বাড়াতে হতে হবে। কারণ রমজানের পর বাজারে আবারো পূর্বের সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়েছে। রোজায় সরকারের বিশেষ পদক্ষেপ এর কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ছিল। এখন আবার সবজিসহ দ্রব্যমূল্যের বাজার ফ্যাসিস্ট আমলে ফিরে যাচ্ছে। রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সক্রিয় ভূমিকার কারণে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। সাথে সাথে আমরা এটাও দেখেছি সরকার আন্তরিক হলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক আমদানি-রপ্তানিতে বাণিজ্য উপদেষ্টার ভূমিকা প্রশংসার দাবী রাখে। কিন্তু দেশীয় বাজারে যদি সিন্ডিকেট বহাল থাকে, তাহলে বাণিজ্য উপদেষ্টার সকল ভূমিকাই স্মান হয়ে যাবে। দেশে উৎপাদিত পণ্য-সামগ্রী জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে হবে। কোন ধরণের মাফিয়া বা সিন্ডিকেটকে আশ্রয়-পশ্রয় দেওয়া যাবে না। তাহলেই জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সংস্কার অর্থবহ হবে।
আজ ২২ এপ্রিল ‘২৫ মঙ্গলবার বিকাল ৫ টায় রাজধানীর গুলশানস্থ একটি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গুলশান থানা শাখার সাংগঠনিক কার্যক্রম পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
থানা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন নগর উত্তরের এসিস্ট্যান্ড সেক্রেটারি এডভোকেট মোস্তফা আল মামুন মনির, মুফতি নিজাম উদ্দিন, জনাব মোকাররম হোসেন, আওলাদ হোসেন, আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
তিনি আরো বলেন, অভ্যন্তরিণভাবে উৎপাদিত খাদ্য-পণ্যের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে। আলুর দাম নিম্নমুখী হলেও দেশী পিয়াজের মূল্য একলাফে ৬০ টাকা হওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো কারণ নাই। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশীয় উৎপাদিত সকল পণ্যের উৎপাদন ভালো হয়েছে। অন্যদিকে যেসব পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় সেগুলোর দাম বিশ্ব বাজারে কমলেও বাংলাদেশের বাজারে তার প্রতিফলন নেই। দ্রব্যমূল্যের ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য নতুন করে চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। তাই এখনই বাণিজ্য উপদেষ্টা সতর্কতার সাথে ভোক্তা অধিকারসহ অন্যান্য মাধ্যমে বাজার তদারকি করার কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।