মোঃ শেখ ছোবাহান, সদরপুর(ফরিদপুর):
কদম গাছ এর ইংরেজী নাম(neolamarckia cadamba) বর্ষা এলেই বৃষ্টির রিমঝিম শব্দে মুখরিত হয়ে থাকে চারদিক।
বর্ষা মৌসুমে প্রকৃতির অপার রুপ কদম ফুল। গ্রামাঞ্চলে পথের পাশে, বাড়ির উঠানে কদম ফুলের উপস্থিতি দেখা যায়। কদম ফুলকে বর্ষার বাহক বলা হয়ে থাকে। কদম নামটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ কদম্ব থেকে।
বাংলার এই প্রাচীন কদম ফুল গাছ গ্রামবাংলায় অহরহ চোখে পরতো। বর্ষা এলেই কদম ফুলের ঘ্রানে মাতোয়ারা থাকতো প্রকৃতি।
যেকোন বেলে বা দো আশ মাটির মধ্যেও এই গাছ বেঁচে থাকে। কখনও কখনও অযন্ত অবহেলায়ও বেড়ে ওঠে। অযত্ন অবহেলায় বেড়ে উঠা সেই কদম ফুলই বৃষ্টির সময় চোখ জুড়িয়ে দেয় প্রকৃতি প্রেমিকের। এর গন্ধ মাতোয়ারা করে সুশোভিত তোলে দেহ-মন সারাক্ষণ। তরুন তরুনীর হৃদয়ে বৃস্টিভেজা দিনে সুর খেলে যায়। আপন মনে গেয়ে ওঠে, ‘আজ ঘন ঘন বরষায় মুখরিত সব দিক, কদম ফুলের গন্ধে প্রকৃতি যেন ব্যাকুল।’
কদম গাছের উপকারিতা ও অনেক। কদম গাছের বাকল ও পাতা প্রাচীন কাল থেকে বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী চিকিৎসায়, জ্বর, মাথা ব্যাথা, বাত ব্যথা ব্যথায় ব্যবহার করা হয়।
বর্তমানে কিছু অসাধু কাঠ ব্যাবসায়ীরা কদম গাছ কেটে এটা বিলুপ্ত করে দিচ্ছে। কদম গাছের কাঠ নরম ও পাতলা হওয়ায় দিয়াশলাইয়ের কাঠি,বাক্স তৈরী সহ বিভিন্ন হালকা আসবাব পত্র তৈরীতে কদমের কাঠ ব্যাবহার করা হয়। পরিবেশগতভাবে এটি দ্রুত বাড়ে বলে মৃত্তিকা সংরক্ষন, জীব বৈচিত্র রক্ষা ও দ্রুত বনায়নে ভুমিকা রাখে।
কদম ফুল অসংখ্য ফুলের গুচ্ছ। গাছে যখন এই ফুল ফোটে তখন দূর থেকে দেখতে খুবই মনোরম। সাদা, হলুদ আর সবুজ মিলে গোলাকার আকৃতির এই ফুলটি গ্রামের আনাচে কানাচে প্রকৃতিপ্রেমীদের ও তরুন তরুনীদের নজর কেড়ে নেয় সবসময়। প্রকৃতির বুকে দান করে স্নিগ্ধতা।