মোঃ হারুন উর রশিদ,স্টাফ রিপোর্টার:
চীন-বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তীতে তাদের উপহারের এক হাজার বিশিষ্ট হাসপাতাল নীলফামারীর দারোয়ানী টেক্সটাইল মিলস মাঠে নির্মাণের দাবীতে মানববন্ধন করেছে সর্বস্তরের জনগণ।
সোমবার (২১ জুলাই/২৫) দুপুরে নীলফামারী সদর উপজেলার দারোয়ানী টেক্সটাইল মিলস মাঠের সামনে সৈয়দপুর-নীলফামারী মহাসড়ক অবোরধ করে ঘন্টা ব্যাপি মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধনে স্থানীয় জনগণ, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষাথীসহ হাজারো জনগণ অংশগ্রহণ করে।
এসময় চড়াইখোলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাকির মোল্লার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, নীলফামারী জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার, ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং বাংলাদেশের (এফডিইবির) কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুস সাত্তার শাহ,জামায়াতের নীলফামারী জেলা নায়েবে আমীর ড.খায়রুল আনাম, চড়াইখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম রেজা, সংগলশী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ জিয়াউর রহমান জিয়া, নগড় দারোয়ানী স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোকলেছুর রহমান, চড়াইখোলা স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহিমসহ অনেকে।
তারা বলেন, চীনের উপহারের এই হাসপাতাল নির্মাণের উপর্যুক্ত স্থান ৫৩ একরের এই নীলফামারীর টেক্সটাইল মাঠ। পাকিস্তান আমলে এই জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়। এরপর ট্রেক্সটাইল মিলস স্থাপনের জন্য বিটিএমসি নেয় ১২ একর এবং পরবর্তীতে বিজিবি নেয় ৬ একর অবশিষ্ট ৩৫ একর জায়গা পড়ে আছে যার মালিকানা নিয়ে কোন ঝামেলা নেই। হাসপাতালটি নির্মাণে মাত্র ২৫ একর জায়গা প্রয়োজন। এখানে চীনের দেওয়া হাসপাতালটি নির্মাণ করলে জমি অধিগ্রহণের ঝামেলা থাকবে না আর মাটিও তুলতে হবে না।
টেক্সটাইল মাঠে নির্মাণের সুবিধা নিয়ে বক্তারা আরও বলেন, টেক্সটাইল মাঠটি রংপুরের আট জেলার মাঝামাঝি অবস্থান। এখান থেকে মাত্র পনের মিনিটের পথ সৈয়দপুর বিমান বন্দর। পাশেই ৫ মিনিটের পথ রেলস্টেশন। রয়েছে উত্তরা ইপিজেট। সেখানে চীনা নাগরিকরা চাকরী করে। তারা এখানে সহজেই এসে চিকিৎসা নিতে পারবেন। দেশের রোগীদের চেন্নাই,ভেলোরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে না। সেইসাথে ভারতের সেভেন সিস্টার্স এর রোগীরা অনেক দুর পারি দিয়ে ভারতের চেন্নাইয়ে গিয়ে চিকিৎসা করে। তাদের জন্যও এখানে সুবিধা হবে। তাই এই স্থানেই হাসপাতাল নির্মাণে একটি উত্তম জায়গা।
বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজি মহোদয় টেক্সটাইল মাঠ পরিদর্শন করেছেন।তিনিও জানেন এই জায়গাটি সরকারের। আমরা ইতোমধ্যে নিশ্চিত হয়েছি তিনটি হাসপাতালের একটি নীলফামারীতে হবে। তবে একটি মহল এই হাসপাতাল অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার পায়তারা করছে। অনেকে আবার অযৌক্তিত দাবী করছে। আমরা বলতে চাই এই হাসপাতাল নির্মাণের সুবিধার্থে এবং মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে টেক্সটাইল মাঠই একমাত্র উত্তম জায়গা। এই হাসপাতাল নিয়ে আর কোন চক্রান্ত হলে সর্বস্তরের জনগণ তা মেনে নেবে না আরও কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।