রুবেল হোসাইন, বিশেষ প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ৫ বন্ধুর ইচ্ছা পূরণ করতে বানানো ৪কেজি ওজনের দুই শিঙাড়া। আর এটা নিয়ে উপজেলা জুড়ে শুরু হয়েছে হৈচৈ।
রোববার (২০ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার আহুতিয়া পুরাতন বাজারে স্বপন মিয়ার মায়ের দোয়া হোটেলে বানানো হয় এই শিঙাড়া দুটি। প্রতিটি শিঙাড়া বানাতে খরচ পড়েছে প্রায় এক হাজার টাকার ওপর।
হোটেল মালিক ও ৫ বন্ধুর সাথে কথা বলে জানা গেছে, মোফাজ্জল হোসেন, অন্তর মিয়া, মিজানুর রহমান, টুটুল মিয়া ও দিদার আহমেদ তারা ৫ বন্ধু। এই ৫ বন্ধু পরিকল্পনা করে বড় আকারের শিঙাড়া বানাবে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা স্থানীয় আহুতিয়া পুরাতন বাজারে স্বপন মিয়ার মায়ের দোয়া হোটেলের মালিক স্বপন মিয়ার কাছে বিস্তারিত জানায়। পরে হোটেল মালিক ৫ বন্ধুর কথা শুনে বানিয়ে ফেলে চার কেজি ওজনের দুটি শিঙাড়া।
৪ কেজি ওজনের বানানো শিঙাড়ায় উপাদান হিসেবে দেয়া হয়- চার কেজি মুরগির মাংস, পরিমাণমতো আলু, গাজর, বাদাম, আটা, ময়দা ও বিভিন্ন ধরনের মসলা। পরে তেলে ভাজা হয় শিঙাড়া দুটি। একেকটি শিঙাড়া বানাতে খরচ পড়েছে এক হাজার টাকার ওপর। দুটি শিঙাড়ায় প্রায় আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
পাঁচ বন্ধুর একজন টুটুল মিয়া বলেন, ব্যতিক্রম কিছু তৈরি করার চিন্তাভাবনা থেকেই এতো বড় শিঙাড়া বানানো হয়েছে। এর বেশি কিছু নয়।
তাদের একজন মিজানুর রহমান। তিনি জানান, বড় শিঙাড়াতে চার কেজি মুরগির মাংস, পরিমাণ মতো আলু, গাজর, বাদাম, আটা, ময়দা ও বিভিন্ন ধরনের মসলা দিয়েছি। যেমন অনেক বড় শিঙাড়া খেয়েও অনেক স্বাদ পেয়েছি। আমাদের গ্রামের মানুষ এর আগে এত বড় শিঙাড়া কখনো দেখিনি। তারাও দেখে আনন্দ পেয়েছে।
মায়ের দোয়া হোটেলের মালিক ও শিঙাড়া তৈরির কারিগর স্বপন মিয়া বলেন, ৫ বন্ধু মনের ইচ্ছে পূরণ করতেই এতো বড় বড় দুটি সিঙাড়া বানানোর আয়োজন করা হয়েছে। এই ৪ কেজে ওজনের দুই সিঙাড়া বানাতে আমাকে ওই ৫ বন্ধু সহায়তা করেছে। আমি এর আগে কখনো এতো বড় সিঙাড়া বানায়নি। এখন বড় সিঙাড়া বানিয়ে সাহস হয়ে গেছে অন্য কেউ অর্ডার করলে এমন শিঙাড়া বানিয়ে দিতে পারবো।