নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর গ্যাস সংযোগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তবে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। শিল্পমালিকদের জন্য গ্যাস সংযোগের আগে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করা হবে। এই বিষয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ আজ পেট্রোবাংলাকে চিঠি পাঠিয়েছে।
এখন থেকে গ্যাস সংযোগ পাওয়ার জন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানটি রপ্তানিমুখী কি না, তা যাচাই করা হবে। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, শিল্পপ্রতিষ্ঠানটির গ্যাস সংযোগের আবেদন কবে করা হয়েছে, সেটি। এছাড়া, যারা গ্যাস পাবেন, তাদের নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নতুন শিল্প ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের দাম ৩৩ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে, যা শিল্পমালিকদের মধ্যে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ক্যাপটিভ পাওয়ারে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ৩১.৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৪২ টাকায় পৌঁছেছে, যা ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের জন্য একটি বড় চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে বৈঠক শেষে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, সিস্টেম লস কমানোর জন্য আগামী বছরের জুন পর্যন্ত একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া, নতুন শিল্পমালিকদের আবেদন নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা চাই, যাদের সঙ্গে গ্যাস দেওয়ার চুক্তি হবে, তারা নিশ্চিতভাবে গ্যাস পাবেন।”
এখন গ্যাস পাওয়ার জন্য একটি তালিকা তৈরি করা হবে, যাতে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থনৈতিক প্রভাব বিশ্লেষণ করে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে। এই তালিকা পেট্রোবাংলা এবং মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদকে।
এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সরকার শিল্প খাতে গ্যাস সংযোগের কার্যক্রমকে আরও সুচারু ও সুষ্ঠু করতে চায়, যাতে এই অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য ও উৎপাদন কার্যক্রমে বাধা না আসে।