বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এবং সামরিক প্রস্তুতির খবরের ভিড়ে ১২ এপ্রিল ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে এক রহস্যজনক উত্তেজনা। বিভিন্ন গোপন সামরিক নথি ফাঁস, কূটনৈতিক অস্থিরতা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নানা গুজবের কারণে অনেকেই আশঙ্কা করছেন—তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হতে পারে এই দিনে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত, চীন-তাইওয়ান ইস্যু এবং যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এক রকম উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা যেমন বেড়েছে, তেমনি এশিয়ায় চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বিতা পৌঁছেছে চরমে। এসব ঘটনার পটভূমিতে ১২ এপ্রিলকে ঘিরে ছড়ানো ভবিষ্যদ্বাণী এবং সতর্কবার্তাগুলো সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে।
তবে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বিষয়টিকে সরাসরি “বিশ্বযুদ্ধের শঙ্কা” হিসেবে না দেখে রাজনৈতিক ‘মনস্তাত্ত্বিক চাপ’ বা ‘সাইবার যুদ্ধের কৌশল’ হিসেবেও দেখছেন। কেউ কেউ মনে করছেন, এটি আন্তর্জাতিক জনমত প্রভাবিত করার একটি প্রচেষ্টা, যার মাধ্যমে একধরনের ভয়ের আবহ সৃষ্টি করে রাজনৈতিক স্বার্থ আদায় করা হচ্ছে।
বিশ্ববাসীর নজর এখন ১২ এপ্রিলের দিকে। তবে বাস্তবতা হলো—বড় ধরনের যুদ্ধ সাধারণত হঠাৎ করে শুরু হয় না; এর পেছনে থাকে দীর্ঘ পরিকল্পনা ও সংকেত। তাই সচেতনতা এবং তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষনই এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্বে শান্তি আসুক—এটাই সকলের প্রার্থনা।
Trending
- মালদ্বীপে ইসরাইলিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
- তিন-চার মাস সময় লাগবে নির্বাচনী মুদ্রণকাজে: ইসি সচিব
- চীনের খনিজ সম্পদ রপ্তানি বন্ধে বিপাকে যুক্তরাষ্ট্র
- নওগাঁয় দশম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ
- ইন্টারপোল রেড অ্যালার্ট জারি করতে পারে টিউলিপের বিরুদ্ধে
- মহেশপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদর্যাপন
- বিচার না পাইলে মইরা যামু, বিধবা আরেফা বেগমকে উচ্ছেদের চেষ্টা
- সরকারের নতুন নীতিমালায় আউটসোর্সিং কর্মীদের জন্য সুখবর