আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীন ছাড়া বিশ্বের অন্য ৭৫টিরও বেশি দেশের ওপর আরোপ করা পারস্পরিক শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন। তবে চীনের ক্ষেত্রে শুল্ক হার বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
বুধবার (৯ এপ্রিল) নিজের মালিকানাধীন সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ’-এ দেওয়া এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন, “চীন বিশ্ববাজারে যে আচরণ করছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের শোষণমূলক নীতির জবাব হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত।”
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসন ৩৭ শতাংশ পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করে। এই ঘোষণার পর বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি কার্যক্রমে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে।
ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন, যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে এবং কোনো পাল্টা ব্যবস্থা নেয়নি, তাদের জন্য শুল্ক হার সাময়িকভাবে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।
তবে যেসব দেশ আগে যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কমুক্ত পণ্য রপ্তানির সুবিধা পেত, তাদের জন্য সেই সুযোগ আর থাকছে না। এখন থেকে সব দেশকেই অন্তত ১০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে মার্কিন বাজারে পণ্য পাঠাতে হবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পণ্যে আগেও গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক ধার্য ছিল, যা নতুন শুল্ক নীতির ফলে আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি প্রতিযোগিতা আরও কঠিন হয়ে পড়বে।