প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ তার প্রতিশোধমূলক শুল্ক পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়ে বললেন, তিনি “অবশেষে আমেরিকাকে প্রথম স্থানে রাখছেন।”
ট্রাম্পের ভাষ্যে, “আজ আমরা আমেরিকান কর্মীদের জন্য দাঁড়িয়ে আছি এবং অবশেষে আমেরিকাকে প্রথম স্থানে রাখছি।” তিনি আরও বলেন, “আমরা বিশ্বব্যাপী অনেক দেশকে সহায়তা করে এসেছি, কিন্তু যখন আপনি একটু কাটছাঁট করতে চান, তখন তারা বিরক্ত হয়ে যায় যে আপনি আর তাদের যত্ন নিচ্ছেন না। শুল্ক আরোপ হল এক ধরনের সংকেত যে আমরা আমাদের মানুষদের প্রথমে সুরক্ষা দেব।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমরা সত্যিই অত্যন্ত ধনী হতে পারি। আমরা বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে অনেক বেশি ধনী হতে পারি, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়, কিন্তু আমরা এখন ধীর্জী হচ্ছি।”
ট্রাম্পের নতুন শুল্ক পরিকল্পনা: ১০% শুল্কসহ একাধিক দেশের জন্য অতিরিক্ত হার
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আজ ঘোষণা করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সব পণ্য আমদানির উপর ১০% শুল্ক আরোপ করা হবে, এবং উচ্চ বাণিজ্য ঘাটতি সহ যে সব দেশ রয়েছে তাদের জন্য আরও বেশি শুল্ক আরোপ করা হবে।
এই নতুন নীতি বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক নীতিতে একটি নাটকীয় পরিবর্তন নিয়ে আসবে। এর লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদনশীলতা পুনরুদ্ধার করা এবং বাণিজ্যের ভারসাম্য রক্ষা করা। তবে এটি একটি বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধ উস্কে দিতে পারে এবং আমেরিকান ভোক্তাদের জন্য পণ্যের দাম বাড়াতে পারে, যা অর্থনীতির জন্য অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
নতুন শুল্ক নীতি According to, আমদানিকৃত সব পণ্যের উপর ১০% শুল্ক আরোপ করা হবে, তবে যে দেশগুলি ইউএসএমসিএ (মেক্সিকো, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি) সম্মত দেশ তাদের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা হবে না। অন্যদিকে, যেসব পণ্য এই চুক্তির সাথে অমিল থাকবে, সেগুলি ২৫% শুল্ক এর আওতায় থাকবে।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হচ্ছে প্রায় ৬০টি দেশের ওপর, যাদেরকে “সবচেয়ে খারাপ অপরাধী” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের জন্য শুল্কের হার অর্ধেক করা হবে, যা তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর আরোপ করে। এই প্রতিশোধমূলক শুল্ক৯ এপ্রিল, ১২:০১ এএম (ইটি) থেকে কার্যকর হবে।
বিশ্ব বাণিজ্য সম্পর্কিত উদ্বেগ
ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ বিশ্ব বাণিজ্য and আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,
- এই শুল্ক নীতি বিশ্ব বাণিজ্যে উত্তেজনা বাড়াতে পারে।
- যুক্তরাষ্ট্রের গ্রাহকদের জন্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি হতে পারে, যা মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।
- বাণিজ্য সংক্রান্ত শর্তে এই পরিবর্তন একটি বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধের সূচনা হতে পারে, যা আমেরিকার বাণিজ্য অংশীদারদের ক্ষতি করতে পারে।
এছাড়া, এই পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন খাতকে রক্ষা করা এবং দেশীয় শিল্পের পুনরুদ্ধার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।