গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন থামতে গিয়েও থামছে না, বরং সময়ের সঙ্গে আরও বিস্তৃত হচ্ছে। একদিকে ইসরাইলের অব্যাহত বিমান ও স্থল হামলা, অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলো থেকেও পাল্টা আক্রমণ চলছে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে এখন শুধু গাজার প্রতিরোধ বাহিনীই নয়, বরং লেবানন সীমান্ত এবং ইয়েমেন থেকেও একযোগ হামলা চলছে। এই পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যকে আবারও এক বিস্তৃত আঞ্চলিক সংঘাতে জড়িয়ে ফেলেছে, যা পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তাকে বিপদে ফেলেছে।
গাজার প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস গত কয়েকদিন ধরে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে একাধিক রকেট ছুড়েছে। হামাসের এ আক্রমণ ইসরাইলের বিমান ও স্থল হামলার প্রতিবাদ হিসেবে চলছে। তবে গাজার পরিস্থিতি দিন দিন আরও কঠিন হয়ে উঠছে, কারণ ইসরাইলি বাহিনী গাজার জনগণের ওপর বর্বর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা ইসরাইলের দিকে মিসাইল নিক্ষেপ করছে। সম্প্রতি, তারা বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে অবরোধের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে, যা ইসরাইলের জন্য একটি বড় সংকেত।
বুধবার রাতে গাজার ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠী নতুন করে আলোচনায় আসে, যখন তারা ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চল লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালায়। রাত ৯টার দিকে বিয়ার সেভা অঞ্চলের আকাশে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় ছিল, ইসরাইলের কোনো ধরনের সাইরেন বা আগাম সতর্কতা বাজেনি। এর ফলে, বিস্ফোরণের শব্দে হতচকিত হয়ে পড়ে ইসরাইলের বাসিন্দারা। এ ঘটনা ইসরাইলি নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে, যা দেশের ভেতরে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
এ পরিস্থিতি ইসরাইলের জন্য একটি বড় ধরনের সংকটের সৃষ্টি করেছে। একদিকে তারা গাজায় প্রতিরোধের মুখোমুখি, অন্যদিকে লেবানন ও ইয়েমেন থেকেও সামরিক চাপ বাড়ছে। ইসরাইলি সরকারের সামনে এখন দুটি বিকল্প—এটি দ্রুত সমাধান করা কিংবা আরও বিস্তৃত আঞ্চলিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়া।
এভাবে প্রতিরোধ বাহিনীর একযোগ আক্রমণ এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পরিপ্রেক্ষিতে ইসরাইলের ভবিষ্যত কী হতে পারে, তা এখন স্পষ্ট নয়। তবে মধ্যপ্রাচ্যের এই অস্থিরতা পুরো বিশ্বে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে, কারণ যুদ্ধের এই পরিস্থিতি আরও বেশি মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে।