মোঃশফিকুল ইসলাম শফিক,স্টাফ রিপোর্টার:
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের সন্নিকটে শ্মশান ঘাট নামক এলাকায় একটি বাড়িতে বসে বিভিন্ন রং-কেমিক্যাল দিয়ে শিশুদের খাবার তৈরি ও বিভিন্ন অনুমোদনবিহীন মোড়কে পণ্য তৈরি করে ডিলারশিপের মাধ্যমে বিক্রির অপরাধে নামবিহীন এক প্রতিষ্টানকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্টানটির দুই মালিককে ২বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং কারখানাটি সিলগালা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
বুধবার (১৯ মার্চ) সকালে জেলা এন এস আই পিরোজপুরের গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এবং সক্রিয় অংশগ্রহণে নাজিরপুরের শ্রীরামকাঠীতে ভেজাল জুস ও শিশু খাদ্য তৈরি এবং অবৈধ ভাবে চালের প্যাকেজিং করা ‘ বেনামী একটি কারখানায় নাজিরপুরের প্রশাসন গিয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করা ১২ টি বিভিন্ন কোম্পানির মোড়কে বাচ্চাদের জুস, সফট ড্রিংস, লিচি জুস ইট্যাদি প্রস্তুত করা সামগ্রী বিভিন্ন উপরকরনসমূহ প্রাথমিক যাচাইয়ে ক্ষতিকারক রঙ, বিভিন্ন রাসায়নিক (মারাত্মকভাবে ক্ষতিকারক পটাশিয়াম) পাওয়া গেলে অবৈধ ও ক্ষতিকারক উপকরণ সমূহ বাজেয়াপ্ত করা হয় ও ইউপি চেয়ারম্যান কে সংরক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হয়।
পরে সকলের সম্মুখে বিনা দ্বিধায় অপরাধ স্বীকার করায় জয়নাল আবেদীনের দুই ছেলে মো:রাকিবুল ইসলাম(২২)ও মো:মিরাজুল ইসলাম(৩০)কে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯এর ৪৩ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে নাজিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো:ফজলে রাব্বির নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন নাজিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) কৌশিক আহমেদ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পিরোজপুর জেলা সহকারী পরিচালক দেবাশীষ রায় পিরোজপুর জেলা এন এস আইর একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
নাজিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো :ফজলে রাব্বি সাংবাদিকদের জানান, উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের পাশে শ্মশান ঘাট নামক এলাকায় জয়নাল আবেদীনের দুই ছেলে মো:রাকিবুল ইসলাম(২২)ও মো:মিরাজুল ইসলাম(৩০) তাদের নিজ বাড়ির দোতলায় বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি বাচ্চাদের খাবার দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে প্রস্তুত করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করে আসছিল। যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্নক ক্ষতিকর। আমরা ঐ দোতলা বাসার ফ্যাক্টরিটি সিলগালা করা দিয়েছি ।